মানিকতলায় বিজেপি (BJP) সমর্থকদের উপর হামলার অভিযোগ৷ আক্রান্ত মহিলা সমর্থকরাও৷ কাঠগড়ায় তৃণমূল(tmc)৷ প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি তৃণমূলের৷ অপরদিকে ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ(police) ৷
বিজেপির অভিযোগ,কলকাতা পুরসভার (KMC) ৩২ নম্বর ওয়ার্ডের নতুন পল্লী এলাকায় হামলা চালায় দুস্কৃতিরা৷ যারা হামলা চালিয়েছে,তারা তৃণমূল আশ্রিত দুস্কৃতি৷ বিজেপি সমর্থকদের বাঁশ, লাঠি দিয়ে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ।
স্থানীয় সূত্রে খবর, এক মহিলার ঠোঁটের উপরে কেটে গিয়েছে। হাতে গুরুতর চোট লেগেছে এক বিজেপি কর্মীর। আহতদের আরজি কর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
সম্প্রতি মিনাখার লাউহাটিতে বিজেপি নেতা বাবু মাস্টারকে দুষ্কৃতীরা আক্রমণ করে। তাঁর গাড়ি ১০/১২ জন দুষ্কৃতী ঘিরে ধরে ত গাড়িতে বোমা, গুলি চালায়। এই ঘটনায় বাবু মাস্টার ও তাঁর গাড়ির চালক গুরুতর আহত হন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় বাবু মাস্টারকে কলকাতার অ্যাপোলো হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। তাঁর শরীর থেকে বেশ কিছু বোমার স্প্লিন্টার বার করা হয়। শুভেন্দু অধিকারীর ঘনিষ্ট এই বাবু মাস্টার ১৮ ডিসেম্বর তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন।
বাবু মাস্টার তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন গত ১৮ তিসেম্বর । আজ তিনি দীর্ঘদিন পর বসিরহাটে হিয়েছিলেন দলীয় সভায় যোগ দিতে। সভা শেষ করে কলকাতায় ফেরার সময় তাঁর ওপর এই হামলা হয়। তাঁকে দ্রুত মিনাখা থেকে কলকাতার অ্যাপোলো হাসপাতালে অন্য একটি গাড়ি করে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসা হয়।
বাবু মাস্টারের আসল নাম ফিরোজ কামাল গাজি। তিনি উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের শিক্ষা, ক্রীড়া ও তথ্য সংস্কৃতির কর্মধ্যক্ষ ছিলেন । শুভেন্দু অধিকারী যেদিন তৃণমূল ছাড়েন সেদিন তিনিও বিজেপি ছেড়ে দেন। তৃণমূল ছাড়ার পর থেকে বাবু মাস্টার বসিরহাটে থাকছিলেন না। তিনি তাঁর ওপর হামলা হতে পারে বলে আশঙ্কা করছিলেন। শেষ পর্যন্ত শনিবার বসিরহাটে বিজেপির দলীয় সভা ছেড়ে কলকাতায় ফেরার পথে তাঁর গাড়ির ওপর মিনাখায় দুষ্কৃতীরা হামলা হল।
ঘটনাস্থল লাউহাটি থানার থেকে বেশি দূরে নয়। ফিরোজ কামাল গাজির অবস্থা আশঙ্কাজনক হলেও চিকিৎসকেরা তাঁর শরীর থেকে কাচ ও বোমার অংশ বার করার পর তিনি কিছুটা সুস্থ হয়েছেন বলে জানা গেছে। দলের দূর্নীতির বিরুদ্ধে মুখ খুলেই বাবু মাস্টার দল ছাড়েন। তিনি পেশায় শিক্ষক। তিনি দল ছাড়ার সময় অভিযোগ করেছিলেন তাঁর বিরুদ্ধে মাছ চুরির মামলা ও বেশ কয়েকটি জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা করা হয়েছিল তৃণমূলের দলের তরফে। দলের কোনও স্তরে বলেই তিনি সুরাহা পাননি।
জেলা বিজেপির তরফে এই হালমার জন্য তৃণমূলকে অভিযুক্ত করা হচ্ছে। জেলা বিজেপি সূত্রে জানা গেছে বসিরহাট জেলা বিজেপি অফিসে বৈঠক করে শনিবার ফিরছিলেন বাবু মাস্টার। এদিন বাবু মাস্টার বসিরহাট থেকে গাড়িতে ফেরার সময় লাউহাটিতে একটি বাম্পারের সামনে গাড়িটি গতি কমালেই তাঁর গাড়ি ঘিরে ধরে ১০/১২ জন দুষ্কৃতী হামলা চালায়। গাড়ির সামনের বাম দিকে চালকের পাশে বসে ছিলেন বাবু মাস্টার। আআমকা বোমা,গুলির আঘাতে তারা হতচকিত হয়ে পড়েন।
তাও গাড়ির চালক কোনক্রমে গাড়িটি চালিয়ে লাউহাটি পুলিশ ফাড়িতে নিয়ে যায়। তারপর সেখান থেকে বাবু মাস্টারকে অন্য গাড়িতে করে কলকাতায় নিয়ে আসা হয়। তাঁর শরীরের বাদিকে বোমার আঘাত লেগেছে।
এদিকে লাউহাটি পুলিশ ফাড়ির সমনে লাগানো সিসি টিভির ফুটেজ খতিয়ে দেখছে পুলিশ। পুলিশ এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
তবে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর থেকেই বাবু মাস্টার বসিরহাটে থাকতেন না। বসিরহাটে কোনও দলের অনুষ্ঠান থাকলে তিনি বসিরহাট যেতেন আবার সেদিনই তিনি কলকাতায় ফিরে আসতেন। বাবু মাস্টার নিজেও তাঁর ওপর হামলার আশঙ্কা করছিলেন।