ভোট শেষের পর সন্ধ্যায় কোচবিহারের জেলাশাসকের অফিসের সামনে ধর্নায় বসেন বিজেপি প্রার্থী নিশীথ প্রামাণিক সহ দলীয় কর্মীরা৷ রাজ্য শসস্ত্র পুলিশ যেসব বুথে ছিল সেখানে পুনর্নির্বাচনের দাবি জানানো হয় বিজেপির তরফে৷ পালটা পদ্ম শিবিরকেই হিংসার জন্য ফের দায়ী করা হয় তৃণমূলের তরফে৷ ধুন্ধুমার অবস্থা৷
পরে পুলিশের তরফে অবস্থান উঠিয়ে নিতে বিজেপি প্রার্থীকে আর্জি জানানো হয়৷ কিন্তি কাজ হয়নি৷ দাবী না মেটা পর্যন্ত তাদের অবস্থান চলবে বলে জানিয়ে দেন নিশীথ প্রামাণিক৷
যুযুধান দুপক্ষই যখন একে অপরকে হিংসার জন্য দায়ী করতে থাকেন তখন কেন্দ্রীয় পুলিশ পর্যবেক্ষক বিবেক দুবে জানিয়ে দেন, ‘‘প্রথম দফায় রাজ্যে ভোট হয়েছে অবাধ ও শান্তিপূর্ণ৷ ভোটে সহযোগিতা করেছে রাজ্য শসস্ত্র পুলিশ৷’’
এদিন আশঙ্কা সত্যি করে ফের ভোটে হিংসার ঘটনা৷ প্রথম দফায় কোচবিহার কেন্দ্রে ছিল লোকসভা ভোট৷ দিনের শুরু থেকে অশান্তির খবর আসতে থাকে৷ কোথাউ ইভিএম খারাপ তো কোথাও কোনও দলের পোলিং এজেন্টকে বসতে দেওয়া হয়নি৷ তবে হিংসা ছাপিয়েও ভোট পড়ে ৮২ শতাংশ৷
উত্তজনার পরিবেশ ছিল৷ বেলা বাড়তেই তা বৃদ্ধি পায়৷ বুথ জ্যাম, বিরোধী দলের কর্মী, সমর্থকদের ভয় দেখানোর অভিযোগ ওঠে রাজ্যের শাসক দলের বিরুদ্ধে৷ প্রতিরোধ করে বিজেপি৷ লাঠি হাতে দেখা যায় গেরুয়া শিবিরের বহু কর্মীকে৷ চলে অভিযোগ, পালটা অভিযোগের পালা৷
মাথাভাঙ্গায় ভোট শুরু আগেই বিজেপি পঞ্চায়েত প্রধানের ওপর হামলা হয়৷ ভোট দিতে গিয়ে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সঙ্গে ঝামেলায় জড়িয়ে পড়েন তৃণমূলের উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে মারাত্মক অভিযোগ করেন তিনি। কেন্দ্রীয় বাহিনী বুথে ঢুকে ভোটারদের প্রভাবিত করছে হলে অভিযোগ করেন মন্ত্রী৷ কোচবিহার লোকসভার দুটি কেন্দ্রে পুনর্নির্বাচনেক দাবি জানান তৃণমূলের কোচবিহার জেলা সভাপতি ও রাজ্যের মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ৷
সম্পূর্ণ বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে তৃণমূল৷ মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ ফোনে ঝামেলার কথা জানান মুখ্যমন্ত্রীকে৷ তাদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করে জোড়াফুল শিবির৷ হিংসা ছাড়ানোর জন্য তৃণমূল বিজেপি একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানায় কমিশনে৷