মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, প্রশান্ত কিশোর- বর্তমানে রাজ্য রাজনীতিতে এই নামগুলো যে সবার ওপরে রয়েছে তা বলাই বাহুল্য। তবে, এরই মাঝে চলে আসছে জলের প্রসঙ্গও। সারা দেশে যখন জল বাঁচাও অভিযান চলছে তখন পিছিয়ে নেই এরাজ্যও। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে শুরু হয়েছে জল বাঁচাও অভিযান।
একদিকে যখন দলনেত্রী নিজে জল বাঁচাও অভিযান করছেন ঠিক তেমনি উল্টো দিকে তাঁরই দলের লোকজন জলাশয় ভরাট করে যাচ্ছেন। এ বিষয়ে বিশিষ্ট আইনজীবী অরুণাভ ঘোষ জানান, ‘তিনি কি জানেন না তাঁর দলের বিধায়করা কে কি করছেন? এই যে জলাশয় ভরাট করে যাচ্ছেন এ বিষয়ে কি তিনি কিছুই জানেন না?’
এবারে আসা যাক রাজ্য রাজনীতির কথায়। ২০২১কে টার্গেট করে তিনি প্রশান্ত কিশোরকে এনেছেন। তবে, এই প্রশান্ত কিশোরের থিওরি কতটা কাজ করবে সে বিষয়ে যথেষ্ট সন্দেহ আছে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ। তবে, ২০২১এ ফের বাংলার মসনদে মমতা বসবেন কিনা এবিষয়ে অরুণাভ বাবু জানান, ‘সেটা আমার দিবাস্বপ্ন। কারণ মমতা আর ক্ষমতায় আসতে পারবে না।’
২০১১তে যখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষমতায় এলেন তখন বিপুল মানুষের জনসমর্থন নিয়ে ক্ষমতায় এসেছিলেন। মাত্র ৮ বছর হতে না হতেই মানুষের মনে এমন কি ক্ষোভের সৃষ্টি হলো যে মমতাকে তাঁরা আর গ্রহণ করবে না বলে মনে হচ্ছে? এখানেই উঠে আসছে সব থেকে বড়ো প্রসঙ্গ, ‘কাটমানি’এর প্রসঙ্গ। তাঁর দলের অনেকেই যে ‘কাটমানি’ অভিযোগে বিদ্ধ, সেটা জেনেই বোধহয় তিনি কাটমানি ফেরতের প্রসঙ্গ টেনে এনেছেন। তবে, এ বিষয়ে অরুণাভ বাবুর মত একটু ভিন্ন। এদিন তিনি জানান, ‘টাকাটা তুমি দাও চুরি করে, আমি সাধু, শুধু এই পলিসির জন্যই মমতা ব্যানার্জীর এই অবস্থা।’