মুর্শিদাবাদ থেকে বিপুল পরিমান আগ্নেয়াস্ত্র সহ গ্রেপ্তার এক। এই আগ্নেয়াস্ত্র মুঙ্গের থেকে এনে রাজ্যে বিক্রি করা হত। কারবারের মূল মাথা এক মহিলা। তবে, সোনিয়া মণ্ডল নামে ওই মহিলাকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। তার দেওরকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে।
শুক্রবার বেলা সাড়ে দশটা নাগাদ মুর্শিদাবাদ পুলিশ সুপার মুকেশ কুমার বহরমপুর তার অফিসে এক সাংবাদিক সম্মেলন করে জানান, জলঙ্গী থানার পুলিশ বৃহস্পতিবার গভীর রাতে জলঙ্গীর টলটলি ঘোষপাড়া এলাকা থেকে নজরুল মন্ডল নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে। বাড়িত্র তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার হয় ১১টি আগ্নেয়াস্ত্র। তারমধ্যে ৮টি ৭.৬৫ পিস্তল, ১টি ৯এমএম পিস্তল, ২টি মাসকেট, ১০টি ম্যাগাজিন, ২১রাউন্ড ৭.৬৫ এমএম তাজা কার্তুজ, ৫ রাউন্ড ০.৩০৩ কার্তুজ, ৮রাউন্ড ০.১২ বোর কার্তুজ। শুক্রবার ধৃতকে আদালতে তোলা হলে ১২ দিনের পুলিশি হেফাজতের আবেদন জানাবে বলে জানা গিয়েছে।
সূত্র মারফত পুলিশ জানতে পেরেছে ধৃত নজরুল মন্ডলের বৌদি সোনিয়া মন্ডল আগ্নেয়াস্ত্র পাচারে মূল মাথা। নজরুলকে সে বাহক হিসাবে ব্যবহার করত। পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করে জানতে পেরেছে উদ্ধার হওয়া আগ্নেয়াস্ত্রগুলি সোনিয়া মন্ডল বিহারের মুঙ্গেরের সঙ্গে যোগাযোগ করে নিয়ে এসেছিল। বাড়ির পিছনে একটি জায়গাতে একটি ব্যাগে করে এগুলি মজুত রাখা হয়েছিল। নির্বাচনে এগুলিকে বিক্রি করার জন্য মজুত করা হয়েছিল বলে জানান পুলিস সুপার।
আগ্নেয়াস্ত্রগুলি এখানে ৩৪ হাজার টাকা করে বিক্রি করার চেষ্টা করছিল। সেই সময় পুলিস তাদের গ্রেপ্তার করে। আগ্নেয়াস্ত্র পাচারের মূল মাথা ধৃতের বৌদি সোনিয়া মন্ডলকে পুলিশ ধরতে পারেনি। তাকে ধরার জন্য তল্লাশি শুরু করেছে। সোনিয়া মন্ডলের স্বামী আগে এই কাজে যুক্ত ছিল বর্তমানে কর্মসূত্রে কেরালায় থাকে। সেই সূত্র ধরে সোনিয়া এই ব্যাবসা শুরু করে। এই আগ্নেয়স্ত্রগুলি মুঙ্গেরে ২০ থেকে ২২ হাজার টাকার বিনিময়ে কিনে আনে। সেগুলি এখানে ৩৪ থেকে ৩৫ হাজার টাকায় বিক্রি করে।
ভোটের আগে আগ্নেয়াস্ত্র পাচার বন্ধ করার জন্য সীমান্তবর্তী এলাকায় নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। সীমান্তবর্তী এলাকায় বিএসএফ এর সঙ্গে এই ব্যাপারে মিটিং করা হয়েছে। এছাড়াও দুষ্কৃতিদের তালিকা তৈরী করে সীমান্তবর্তী এলাকায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যেই বিভিন্ন জায়গায় নাকা চেকিং শুরু হয়ে গেছে।