ফের একবার তৃণমূল সুপ্রিমো তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি তোপ দাগলেন ভাটপাড়ার অর্জুন সিং৷ সুনীল সিংয়ের তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান প্রসঙ্গে মন্তব্য করতে গিয়েই মমতাকে কটাক্ষ করেন তিনি৷ সাফ জানান, ‘দিদিমণির বাজার শেষ’৷
প্রসঙ্গত, লোকসভা ভোটের মুখে তৃণমূল শিবিরে ভাঙন ধরিয়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন তৎকালীন তৃণমূল বিধায়ক অর্জুন সিং। দিল্লিতে বিজেপি সদর দফতরে পদ্ম পতাকা হাতে তুলে নেন তিনি। মুকুল রায় ও কৈলাশ বিজয়বর্গীয়ের হাত ধরে যোগ দেন বিজেপিতে৷
এরপর থেকেই তাঁর আত্মীয় এবং নোয়াপাড়ার তৃণমূল বিধায়ক সুনীল সিংয়ের শিবির পরিবর্তনের জল্পনাও মাঝেমধ্যে মাথাচাড়া দিয়েছে৷ অবশেষে সেই জল্পনাকে সত্যি প্রমাণ করে সোমবার দিল্লির সদর দফতরে বিজেপিতে যোগ দেন সুনীল সিং৷ এবং যোগ দিয়েই তৃণমূল দল ছাড়া পিছনে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে দায়ী করেন৷ পাশাপাশি দায়ী করেন সিন্ডিকেট রাজকেও৷ তিনি বলেন, অভিষেক ব্যানার্জি যেভাবে পশ্চিমবঙ্গে সিন্ডিকেট করছেন, যেভাবে ছেলেরা উৎপাত করছে, গরীব মানুষকে বাড়ি করতে দিচ্ছে না, একটা বাড়ি করতে গেলে সিন্ডিকেটকে টাকা দিতে হবে, এটা আর বরদাস্ত করা যাচ্ছে না৷ তাই বিজেপিতে যোগ দিলাম৷
একদিকে তিনি যেখানে মুখ খুলেছেন শিবির পরিবর্তন করেই৷ সেখানে গত মার্চে বিজেপিতে যোগ দেওয়া অর্জুন বারবারই কটাক্ষ করেছেন মমতার সরকারকে৷ এদিনও তিনি সাফ জানালেন, রাষ্ট্রপতি শাসনের প্রয়োজন নেই, ৬ মাসে পরে এমনিই পড়ে যাবে এই সরকার৷ দিদিমণির বাজার শেষ৷’
প্রসঙ্গত, বারাকপুরে এবার তৃণমূলের প্রার্থী হওয়ার জন্য প্রস্তুত ছিলেন অর্জুন। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী দীনেশ ত্রিবেদীর উপরই আস্থা রাখায় ‘ক্ষুব্ধ’ অর্জুন দলবদল করেন হন বলে সূত্রের খবর৷ এই দলবদল নিয়ে সরব হয়েছিলেন মমতাও৷ তিনি জানিয়েছিলেন, দু একজনের প্রার্থী হওয়ার লোভ রয়েছে৷ যাদের কোনও আদর্শ নেই, উদ্দেশ্য নেই, তারা গেলে দলটা বেঁচে যাবে৷’