সরকারী প্রকল্পের চেক বিলি করে যাদবপুরের তৃণমূল প্রার্থী মিমি চক্রবর্তির জন্য ভোট চাইছেন তৃণমূলের নেতা। আর ভোট না দিলে পরে ব্যাবস্থা নেওয়ার ও হুমকি দেওয়া হচ্ছে ওই তৃণমূল নেতার পক্ষে থেকে। এমনকি ভোটার কার্ড পর্যন্ত ছিনিয়ে নেওয়া হতে পারে বলেন তৃণমূল নেতা।
সোমবার দুপুরে ভাঙরের ভোগালি এলাকার পঞ্চায়েত প্রধান মোদাসের হোসেন এরকম হুমকি দিয়ে গরীব কৃষকদের তৃণমূলকে ভোট দেওয়ার জন্য বাধ্য করছেন। এই ভিডিও সবার সামনে এনেছেন যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী অনুপম হাজরা।
এমনকি তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধান মোদাসের হোসেন ভোটের দিন বুথে তৃণমূলের এজেন্ট ছাড়া কাউকে না বসার ও হুমকি দেন। একদিকে যখন মমতা ব্যানার্জী গোটা দেশে বলে চলেছেন দেশে মোদী সরকার গণতন্ত্র শেষ করেছে। তখন আরেকদিকে তৃণমূলের নেতারাই গণতন্ত্র কে এরাজ্যে রোজই উলঙ্গ করে চলেছেন।
গণতান্ত্রিক ভারত বর্ষের প্রতিটি রাজ্যে গণতান্ত্রিক ভাবে ভোট দেওয়া হলেও। পশ্চিমবঙ্গে হয়না। কারণ এখানে গণতন্ত্র মানে তৃণমূল, আর তৃণমূল মানেই গণতন্ত্র! এরাজ্যে পঞ্ছায়েত নির্বাচনে বিরোধীদের দাঁড়াতে তো দেয়ইনি, আরেকদিকে বুথ কেন্দ্রে গিয়ে অবাধে ছাপ্পা মেরে তৃণমূলের ক্যাডারেরা। তাতেও নিজেদের জয় নিশ্চিত নয় বলে, শেষে গণনা কেন্দ্রে গিয়েও ব্যালট বাক্স খুলে অবাধে ছাপ্পা দিয়ে গেছেন তেনারা।
তাছাড়াও এরাজ্যে পঞ্চায়েত ভোটে তৃণমূলের সন্ত্রাসের বলি হয়েছেন কমপক্ষে ১০০ জন। কিন্তু তৃণমূল নেত্রীর এতে কুছ পরোয়া নেহি। উনি তো গণতন্ত্রের রানি, উনি যেমন ভাবে বলবেন তেমন ভাবেই গণতন্ত্র চলবে।