ঘাস ফুলের রাজ্যে প্রস্ফুটিত হয়েছে পদ্ম। যার জেরে শুধু ধাক্কা খেয়েছে নয়, ভেঙে চুরমার হয়ে গিয়েছে মমতা বন্দ্যপাধ্যায়ের রাজ্যের ৪২টি লোকসভা আসন দখলের স্বপ্ন। তারাপীঠের মা কালী আশির্বাদ করে জানিয়েছিলেন যে রাজ্যের ৪২ আসনের ফুটবে ঘাস ফুল। কিন্তু মায়ের আশির্বাদ ধন্য কেষ্টর নিজের ওয়ার্ডেই ফুটেছে পদ্ম।

কেন এমন অবস্থা হল? রাজ্যে বিজেপি এত আসন পেল কী করে? দাপুটে নেতাদের এলাকাতেই বা হারল কেন তৃণমূল? এই সকল বিশয় নিইয়ে পর্যালচনার জন্য শনিবার তৃণমূল নেত্রীর কালীঘাটের বাড়িতে বসেছিল বৈঠক। উল্লেখযোগ্য বিষয় হচ্ছে সেই বৈঠকে গরহাজির ছিলেন তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল।

রাজ্যে তৃণমূলের অন্যতম প্রধান এবং সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয় নেতা হলেন অনুব্রত মণ্ডল। কোন জেলায় তৃণমূলের জেলা সভাপতি কে সেই বিষয়ে অনেকেরই স্পষ্ট ধারনা নেই। কিন্তু বীরভূমের জেলা সভাপতি সম্পর্কে সকলেই অবগত। দক্ষ সংগঠক হওয়ার কারণে সবসময় তিনি নেত্রীর কাছে প্রশংসা পেয়ে থাকেন। প্রকাশ্য জনসভায় সর্বদা তার পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

লোকসভা নির্বাচনে অনুব্রত মণ্ডলের কাঁধে বীরভূম ছাড়াও বাঁকুড়া এবং নদিয়া জেলার দায়িত্ব তুলে দিয়েছিল দল। যার মধ্যে রানাওঘাট এবং বিষ্ণুপুর কেন্দ্রটি হাত ছাড়া হয়েছে তৃণমূলের। আসানসোলের বিজেপি প্রার্থী বাবুল সুপ্রিয় ভোটে জিতলে রাজনীতি ছেড়ে দেবেন বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন দিদিরত প্রিয় ভাই কেষ্ট। কিন্তু ফলাফল বিপরীতে যাওয়ায় হিসেব উলটো হয়ে গিয়েছে। কিন্তু নেত্রীর ডাকা বৈঠকে কেন হাজির ছিলেন না অনুব্রত মণ্ডল? এই বিষয়ে তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি জানিয়েছেন যে ভোটের কারণে অনেক পরিশ্রম গিয়েছে বলে তিনি ক্লান্ত। কয়েকটা দিন বিশ্রাম নিতে চাইছেন দিদির প্রিয় ভাই কেষ্ট।

শনিবারের বৈঠকে ছিলেন না উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। এলাকায় গন্ডগোল চলছে বলেই ওই বৈঠক এড়িয়ে গিয়েছেন রবীন্দ্রনাথবাবু। এছাড়াও এই বৈঠকে অনুপস্থিত ছিলেন ঘাটালের সংসদ দেব এবং আসানসোলের পরাজিত প্রার্থী মুনমুন সেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.