রাস্তায় নেমে বাম-কংগ্রেসের ডাকা সাধারণ ধর্মঘটের বিরোধিতা করবে তৃণমূল। রবিবার রামপুরহাটের জনসভায় এমনটাই জানালেন তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। সেই সঙ্গে অন লাইনে নাগরিকত্ব আইনের ফর্ম পূরণ চালু করলে কম্পিউটার ভেঙ্গে দেওয়ার হুমকি দেন তিনি। অনুষ্ঠানে সাংসদ শতাব্দী রায় উপস্থিত না হওয়া নিয়ে তাচ্ছিল্য করেন অনুব্রত মণ্ডল।
জাতীয় নাগরিকপঞ্জি ও নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে রবিবার বিকেলে রামপুরহাট হাইস্কুল মাঠে সভা করেন অনুব্রত মণ্ডল। সভায় উপস্থিত ছিলেন কৃষিমন্ত্রী আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়, জেলা পরিষদের সভাধিপতি বিকাশ রায়চৌধুরী, বোলপুরের সাংসদ অসিত মাল, সিউড়ির বিধায়ক অশোক চট্টোপাধ্যায়, রামপুরহাট পুরসভার চেয়ারম্যান অশ্বিনী তেওয়ারি, দলের জেলা সহ সভাপতি সৈয়দ সিরাজ জিম্মি। সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর মুণ্ডপাত করেন অনুব্রত মণ্ডল। মোদি এবং অমিত শা’দের উদ্দেশ্যে করে মুর্খ, মাথা মোটা বিশেষণ এদিনও প্রয়োগ করেন।
সাংবাদিক সম্মেলনে বাম – কংগ্রেসের ডাকা সাধারণ ধর্মঘট প্রসঙ্গে অনুব্রত বলেন, “ওদের সঙ্গে লোক নেই। ওরা ঘোলা জলে মাছ ধরার চেষ্টা করছে। আমরা ওই রাস্তায় হাঁটব না। কারণ মুখ্যমন্ত্রী বনধ, ধর্মঘটের বিরোধিতা করে আসছেন। তাই আমরা পথে নেমে বনধের বিরোধিতা করব”। নাগরিকত্ব আইনে যদি অন-লাইনে মানুষের তথ্য সংগ্রহ করা হয় তা হলে কিভাবে বিরোধিতা করবেন? প্রশ্নে অনুব্রত বলেন, “অন–লাইনে ফর্ম পূরণ শুরু হলে মানুষ সাইবার ক্যাফেতে গিয়ে কম্পিউটার ভেঙ্গে দেবেন। আর যারা করার চেষ্টা করবেন সেই সমস্ত ক্যাফে মালিকদের মাথার চুল কেটে নেওয়া হবে। তবু নাগরিকত্ব আইন মানব না”। কয়েকদিন ধরেই অনুব্রত মণ্ডল জেলার বিভিন্ন ব্লক ঘুরে বেড়ালেও কোথাও দেখা মেলেনি বীরভূম সাংসদ শতাব্দী রায়ের। এমনকি দুদিন ধরে নলহাটি কিংবা তারাপীঠে থাকলেও লোহাপুর কিংবা রামপুরহাটের সভায় তাঁকে দেখা যায়নি। এনিয়ে অনুব্রত বলেন, “সাংসদ অসুস্থ ছিলেন কিংবা কাজে ব্যস্ত ছিলেন তাই আসতে পারেননি। তাকে সভায় থাকতেই হবে তার কোন মানে নেই। উনার জখন ইচ্ছে হবে জনসভা করবেন। আমার সভায় কোন মন্ত্রী, বিধায়ক, সাংসদ না থাকলেও চলবে। শুধু ব্লক সভাপতি আর অঞ্চল সভাপতিরা থাকলেই হবে”। এব্যাপারে শতাব্দী বলেন, “আমাকে আমন্ত্রণ জানানো হয় না। নিমন্ত্রণ না থাকলে কিভাবে যাব। আমি তো রামপুরহাটেই ছিলাম। জানালে যেতাম”।