CAA আইন নিয়ে দেশজুড়ে বড়ো বিতর্ক শুরু হয়েছে। দেশের সচেতন জনগণ এই আইনের পূর্ন সমর্থন জানিয়েছে। দুই সদনেও এই বিল পাস হয়েছে। রাষ্ট্রপতির মঞ্জুরীর সাথে সাথে বিল আইনে পরিণত হয়েছে। রোহিঙ্গা ও অবৈধ বাংলাদেশিরা এই আইনের বিরোধিতা করেছে। CAA নিয়ে দেশের কট্টরপন্থীরা উপদ্রব শুরু করেছে। দেশের নানা প্রান্তে উৎপাত শুরু করেছে কট্টরপন্থীরা। পশ্চিবঙ্গে লুঙ্গি বাহিনীর উপদ্রবে মানুষ আতঙ্কে রয়েছে। উত্তরবঙ্গ এই সাথে দক্ষিণ বঙ্গের যাতায়াত ব্যাবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছিল। পরিকল্পনা মাফিক কট্টরপন্থীরা এই কাজ করেছে বলে মনে করা হচ্ছে।
অন্যদিকে যে পুলিশ পুজোতে বাজি ফাটানোর অপরাধে নিরীহ মানুষকে গ্রেফতার করতে চলে যায়, সেই পুলিশ লুঙ্গি বাহিনীর কাছে হাঁটু গেড়ে দিয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের পুলিশ উলুবেড়িয়ায় লুঙ্গি বাহিনীকে গ্রেফতার করতে গিয়ে উল্টে আক্রমনের শিকার হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে লুঙ্গি বাহিনীর উপদ্রবকে এখন হিন্দুত্ববাদীদের মাথায় চাপানোর প্রচেষ্টাও শুরু হয়ে গেছে। মুর্শিদাবাদে রোহিঙ্গা ও বাংলাদেশি সমর্থকরা বেশকয়েকটি ট্রেনে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে সেই আগুন লাগানোর দায় RSS এর কর্মীদের উপর চাপানোর চেষ্টা চলছে বলেও খবর সামনে এসেছে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রেনে আগুন লাগনোর এক ছবি হু হু করে ভাইরাল হচ্ছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে এক যুবক ট্রেনে আগুন লাগাচ্ছে। ফেসবুক ও বাকি কিছু সোশ্যাল মিডিয়ায় ছবিটি ভাইরাল করে বলা হচ্ছে, যে ব্যাক্তিটি আগুন লাগাচ্ছে তিনি হলেন বিজেপি নেতা। শুধু এই নয়, সোশ্যাল মিডিয়ায় ভুয়ো তথ্য পরিবেশকারীরা ওই ব্যাক্তির একটা মনগড়া নামও দিয়ে দিয়েছে। বলা হয়েছে ওই ব্যাক্তির নাম কমলেশ সিং। ভুয়ো তথ্যে বলা হয়েছে কমলেশ সিং নামের বিজেপি নেতা ট্রেনে আগুন লাগাতে গিয়ে ধরা পড়েছে। কমলেশ সিং মানিকতলার এক ফ্লাট থেকে গ্রেফতার হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে।
নতুন গতি নামক এক ফেসবুক পেজ থেকে এই ভুয়ো তথ্য সবথেকে বেশি প্রচার হয়েছে। নতুন গতি নামক ওই পেজটি আগুন লাগানো ব্যাক্তিটিকে RSS কর্মী বলেও দাবি করেছে। মূলত লুঙ্গি বাহিনীর উপর থেকে কলংক মুছে ফেলে RSS ও বিজেপির বদনাম করার জন্য ভুয়ো খবর ছড়ানো হচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে। হিন্দুত্ববাদীদের বদনাম করতে ও RSS এর বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়ে যে পোস্ট সোশ্যাল মিডিয়ায় করা হয়েছে তা ঝড়ের গতিতে শেয়ারও হয়েছে।