সিএএ বিরোধীতার বিরূপ প্রভাব রাজ্যে | রাজ্য সরকার ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় স্বয়ং সিএএর বিরোধীতায় রাস্তায় নেমে পড়েছেন | সংখ্যালঘুদের মাথায় এর বিরুদ্ধাচারণ কীভাবে গেঁথে গিয়েছে তা হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছেন রাজ্যে কেন্দ্রীয় প্রকল্পে কাজ করা এনজিও সংস্থার কর্মীরা | দেশ জুড়ে চলা বৃহত্তম প্রকল্প ইন্টারনেট সাথী-তে কাজ করেন এমন বেশ কিছু এনজিও সিএএ-র বিরোধীতার ফলে রাজ্যবাসীর উপর যে বিরূপ প্রভাব পড়েছে সেকথা সরাসরি জানিয়েছেন কেন্দ্রকে |
এই ইন্টারনেট সাথী প্রকল্পের কাজ চলা প্রায় দশটি জেলার মধ্যে যে সকল জেলাগুলিতে সংখ্যালঘুদের প্রাধান্য রয়েছে সেখানে কাজ বন্ধ করতে হয়েছে মাঝ পথেই | এনজিও কর্মীদের হেনস্থার স্বীকার পর্যন্ত হতে হয়েছে বলে জানাচ্ছেন কর্মীরা | গ্রামে গিয়ে বাড়ি বাড়ি কথা বললেই তাদের মধ্যে তারি হচ্ছে সন্দেহ |
এনআরসি বা সিএএ-র তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে এই অভিযোগে কয়েকদিন আগেই মুর্শিদাবাদে জেসমিনা খাতুন ও রকিবা খাতুন নামে দুই এনজিও কর্মীর বাড়িতে প্রায় শতাধিক গ্রামবাসী ঘেরাও করে | এরপরই কাজ বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয় ওই সংস্থাটি |
সবচেয়ে বেশি প্রতিরোধের মুখে পড়তে হয়েছে মুর্শিদাবাদ,নদীয়া,মালদহ, দক্ষিণ ২৪পরগনা ও বীরভূমে | সেখানে অধিকাংশ জায়গাতেই কাজ বন্ধ করে রাখতে হয়েছে | বাকি পুরুলিয়া,বাঁকুড়া,উত্তর দিনাজপুর ও দক্ষিণ দিনাজপুরের কাজ ডিসেম্বরের মধ্যই সম্পন্ন করা সম্ভব হয়েছে বলে কেন্দ্রের কাছে রিপোর্ট |
রাজ্য সরকারের লাগাতার বিরুদ্ধ প্রচার ও সংখ্যালঘু মানুষকে বোঝানোর জেরে ধীরে ধীরে সমস্ত কেন্দ্রীয় প্রকল্পের কাজ আটকে থাকার আশঙ্কার কথা বলছেন একেবারে তৃণমূল স্তরে কাজ করা কর্মীরা | একদিকে তাতে এই আইন নিয়ে পাল্টা জনমতের পাশপাশি কেন্দ্রের অপদার্থতাকে তুলে ধরতে সাহায্য করবে রাজ্যবাসীর কাছে |এক ঢিলে দুই পাখি মারার এই কৌশলই নিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পরিচালিত তৃণমূল কংগ্রেস বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকেরা |