রাজ্যে একের পর এক খুন হয়েই চলেছে বিজেপির কর্মীরা। আর এরকম হত্যালীলার পরেও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী চুপ করে আছেন। এমনকি হত্যায় অভিযুক্ত তৃণমূল কর্মীদের দরাজ সার্টিফিকেট ও দিয়েছেন তিনি। সন্দেশখালিতে চার বিজেপি কর্মী হত্যার পর রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী দলের নেতা তথা রোহিঙ্গা সৃজনপোষণে অভিযুক্ত ব্যাক্তি শেখ শাহাজাহানকে ক্লিনচিট দিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন শাহাজাহান এলাকার সৎ এবং অহিংসা পরায়ণ তৃণমূল নেতা। এমনকি উনি এও বলেছিলেন যে, শাহাজাহনকেই মারার ছক কষেছিল বিজেপির কর্মীরা।
সন্দেশখালিতে বিজেপির চার কর্মী খুনের সাত দিনের মাথায় বসিরহাটে আরেক বিজেপি কর্মী খুন হন। এলাকার পুরানো বিজেপি কর্মী বলে পরিচিত সরস্বতী দাসকে বাড়িতে ঢুকে পর পর ৯ টি গুলি করে খুন করেন তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা। রাজ্যের চারিদিক থেকে যেভাবে আইন শৃঙ্খলা ভেঙে পড়ছে সেই নিয়ে ভ্রুক্ষেপই নেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীর।
এই দুই নৃশংস খুনের ঘটনার ঘটার পর, রাজ্যে ফের খুন হলেন আরেক বিজেপি কর্মী। এলাকার সবথেকে পুরানো বিজেপি কর্মী বলে পরিচিত মনোজ মন্ডলের মৃতদেহ উদ্ধার হল পাট খেত থেকে। ঘটনাটি ঘটেছে নদীয়া জেলার তেহট্ট থানার ধোপট্ট গ্রামে। বিগত তিনদিন ধরে নিখোঁজ থাকার পর পাট খেত থেকে উদ্ধার হয় বিজেপি কর্মী মনোজ মণ্ডলের মৃতদেহ। এই ঘটনার পর চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।