দ্রুত জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠক চেয়ে নির্মলাকে চিঠি অমিতের

জিএসটি কাউন্সিলের শেষ বৈঠক হয়েছিল ২০২০ সালের অক্টোবর মাসে। সেই শেষ, তার পর থেকে জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠক আর হয়নি। রাজ্যের অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব নিয়েই অমিত মিত্র কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনকে কড়া চিঠি লক্ষে দ্রুত জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠক ডাকার অনুরোধ জানিয়েছেন। বৃহস্পতিবারই রাজ্যের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র দেশের অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনকে চিঠি দিয়েছেন।

অমিত মিত্রর বক্তব্য, নিয়মমাফিক তিন মাস অন্তর জিএসটি কাউন্সিলের একটি করে বৈঠক হওয়ার প্রথা রয়েছে। কিন্তু, গত বছর থেকে এখনও পর্যন্ত দু’বার এই নিয়ম লঙ্ঘিত হয়েছে। চিঠিতে বাংলার অর্থমন্ত্রী জানিয়েছেন, ২০২০-র ৫ অক্টোবর শেষ এই বৈঠক হয়েছিল। তার পর থেকে চলতো বছরের মে মাসের ১৩ তারিখ পর্যন্ত জিএসটি কাউন্সিলের কোনও বৈঠক হয়নি। এই ঘটনাকে যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামোর পরিপন্থী বলেই চিঠিতে দাবি করেছেন রাজ্যের অর্থমন্ত্রী। তাই অমিত মিত্র অবিলম্বে জিএসটি কাউন্সিলের ভার্চুয়াল বৈঠক ডাকার অনুরোধ করেছেন নির্মলা সীতারামনকে ।

করোনার ফলে দেশ জুড়ে গত বছর যে লকডাউন হয়েছিল তাতে দেশের অর্থনীতির মেরুদণ্ড অনেকটাই দুর্বল হয়ে পড়েছে বলেই অর্থনীতিবিদদের একাংশ মনে করেন। কেন্দ্রীয় সরকারের পাশাপাশি রাজ্য সরকারগুলিও এর ফলে চরম আর্থিক সঙ্কটের মধ্যে পড়েছে। এই পরিস্থিতি থেকে কেন্দ্র ও রাজ্যগুলি এখনও বার হতে পারেনি।

রাজ্যের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীকে চিঠিতে লিখেছেন, সংবিধানের ২৭৯-এ এবং ২৭৯-এ (৮) অনুচ্ছেদ মেনেই এই বৈঠক ডাকা উচিত। পাশাপাশি, প্রসিডিওর অ্যান্ড কনডাক্ট অব রেগুলেশন অব দ্য গুডস অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্যাক্স কাউন্সিল-এর ৬ নম্বর অনুচ্ছেদের কথা মেনে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীকে জিএসটি কাউন্সিল পরিচালনার পরামর্শও দিয়েছেন রাজ্যের অর্থমন্ত্রী।

অমিত মিত্র নির্মলা সীতারামনকে লিখেছেন, “তিন মাস অন্তর জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠক না ডাকা যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামোয় আঘাত করার সমান, এ ব্যাপারে আপনিও নিশ্চয়ই সহমত।”

বৈঠকে কোন কোন বিষয় নিয়ে আলোচনা হওয়া উচিত, সেই বিষয়েও পরামর্শ দিয়েছেন বাংলার অর্থমন্ত্রী। চিঠির শেষাংশে তিনি উল্লেখ করেছেন, রাজ্যগুলির উদ্বেগজনক আর্থিক পরিস্থিতি নিয়ে অবশ্যই আলোচনা হওয়া দরকার। কেন্দ্রীয় সরকার করোনা সংক্রমণের সময় ১ লক্ষ ৫৬ হাজার ১৬৪ কোটি টাকার আর্থিক ঘাটতির অনুমান করেছিল। কিন্তু করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ে সেই ঘাটতির পরিমাণ আরও বেড়ে গিয়েছে। বিষয়টি অতি উদ্বেগজনক’ বলেও চিঠিতে উল্লেখ করেছেন অমিত মিত্র। সে কারণেই নির্মলাকে এমন কঠিন আর্থিক পরিস্থিতির মোকাবিলায় দ্রুত জিএসটি কাউন্সিলের ভার্চুয়াল বৈঠক ডাকার অনুরোধ করেছেন অমিত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.