যোগদানে ছুঁৎমার্গ নয়, বাস্তবতা মেনে মুকুল-মতেই সায় অমিতের

দল বদলের হাওয়ায় মৃদু বিতর্ক উঠেছিল, তবে পাল্লা ভারী হল ‘চাণক্য’-নীতিতেই। রাজ্যের নেতাদের অমিত শাহ’র স্পষ্ট বার্তা—আপাতত যে আসতে চায় গেরুয়া শিবিরে, তাঁকেই স্বাগত।

প্রসঙ্গত, রবিবার দিল্লিতে রাজ্যের নেতা, মন্ত্রীদের নিয়ে ভোট পরবর্তী বৈঠক করেন বিজেপির কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি অমিত শাহ। স্বভাবতই বৈঠকে ছিলেন রাজ্যের দুই মুখ মুকুল রায় ও দিলীপ ঘোষ। সূত্রের খবর, বৈঠকে আলোচনার অন্যতম বিষয় ছিল, পরিস্থিতি বুঝে দল বদলে যাঁরা বিজেপিতে নাম লেখাচ্ছে, তাঁদের সকলেই কি স্বাগত জানাবে গেরুয়া শিবির, নাকি ছাঁকনি নীতি নেওয়া হবে। এতদিনে গোটা রাজ্যের জানা যে, প্রথম নীতিতেই বিশ্বাসী মুকুল রায়। যার ফলে প্রাক লোকসভা ভোটপর্ব থেকেই বিজেপির শক্তি চোখের পড়ার মতো হারে বেড়েছে। যে ধারাবাহিকতা এখনও চলছে।

বিজেপি সূত্রে খবর, একই বিষয়ে দিলীপ ঘোষের কিন্তু বেশ কিছু আপত্তি রয়েছে। প্রসঙ্গত, বেশ কয়েকদিন আগে বীরভূমের লাভপুরের তৃণমূল বিধায়ক তথা এলাকার দাপুটে নেতা মনিরুল ইসলাম বিজেপিতে যোগ দেন। ঘটনার পর জেলার একাংশের নেতা কর্মীরা, যাঁরা দিলীপ ঘোষের অনুগামী বলেই পরিচিত, তাঁরা মনিরুলের যোগদান নিয়ে রীতিমতো আপত্তি তোলেন। চাপের মুখে মনিরুল ইসলাম দল ছাড়বেন বলে চিঠি দেন বিজেপির রাজ্য দফতরে।

সেই ঘটনার কথা অমিত শাহ সহ শীর্ষ নেতৃত্বকে জানান মুকুল রায়, কৈলাশ বিজয়বর্গীয়রা। তবে সবদিক বিচার করে রবিবারের বৈঠকে অমিত বচন—আপাতত ছ্যুঁৎমার্গ চলবে না। প্রথম কাজ দলকে বড় করা, দলের শক্তি বাড়াতে হবে। অতএব, গেরুয়া শিবিরে সকলকেই স্বাগত।

উল্লেখ্য, রবিবার কেবল অন্য দল থেকে আসা নেতা কর্মীদের স্বাগতই জানানোর কথাই বলেননি অমিত, পাশাপাশি হুঁশিয়ারি দেন, যাঁরা কাজ করতে পারেন না তাঁদের দলের পদে রেখে লাভ নেই। অমিত শাহ’র এই মন্তব্যের কিছুক্ষণের মধ্যেই রাজ্যের আট অঞ্চলের পুরনো সাংগঠনিক জেলা সভাপতিদের সরিয়ে ওই পদে নতুন মুখ বসিয়েছে বিজেপি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.