রাজ্যের আসন্ন বিধানসভার নির্বাচনের আগে কোমর বেঁধে মাঠে নেমেছে বিজেপি। রাজ্যের নেতারা গোটা রাজ্য জুড়ে একের পর এক সভা, রোড শো করে চলেছে। আরেকদিকে কেন্দ্রের মন্ত্রীরাও প্রায় দিনই রাজ্য সফরে আসছেন। আরেকদিকে, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহও নতুন বছরের প্রথম মাস থেকে রাজ্যে প্রতিমাসে আসার পরিকল্পনা নিয়েছেন। তবে প্রথম মাসে ধাক্কা খেলো অমিত শাহের বঙ্গ অভিযান।
প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী, এমাসের ১৯ আর ২০ তারিখ দুদিনের জন্য রাজ্য সফরে আসার কথা ছিল অমিত শাহের। কিন্তু এখন খবর পাওয়া যাচ্ছে যে, তিনি ওইদিন রাজ্যে আসতে পারবেন না। সম্ভবত আগামী ৩০ জানুয়ারি তিনি রাজ্যে আসবেন। আর তিনি এবার বনগাঁর সফরে যাবেন। সেখানে একটি সভাও করবেন। নাগরিকত্ব আইন নিয়ে মতুয়াদের আশ্বস্ত করার জন্যই তিনি বনগাঁয় সভা করবেন।
মতুয়া ভোট দখলের জন্য শাসক, বিরোধী দুই পক্ষই মরিয়া। গত লোকসভা নির্বাচনে মতুয়া সংখ্যাগরিষ্ঠ দুটি এলাকা বনগাঁ আর রানাঘাটে উরেছিল গেরুয়া পতাকা। আরেকদিকে, বনগাঁর বিজেপি সাংসদ একদিকে যেমন মতুয়াদের প্রতিনিধি। তেমনই তিনি আবার ঠাকুর পরিবারের সদস্য। যদিও তৃণমূলের প্রার্থীও ঠাকুর পরিবারেরই সদস্য ছিলেন, তবে তিনি সেই যাত্রায় নির্বাচনে জয়লাভ করতে পারেন নি।
এবার বিজেপির সাংসদ শান্তনু ঠাকুরের গলায় সিএএ লাগু করার সুর চরতেই তৃণমূল মতুয়াদের নিজেদের দিকে টানার জন্য মরিয়া হয়েছে। এমনকি বিজেপির সাংসদ শান্তনু ঠাকুরকে পর্যন্ত তৃণমূলে আহ্বান জানানো হয়েছিল। যদিও শান্তনু ঠাকুর স্পষ্ট করে দেন যে, যেই দল সিএএস সমর্থন করে নি এতদিন, সেই দলে যাওয়ার কোনও প্রশ্নই ওঠে না। শান্তনু ঠাকুর এটাও জানিয়ে দিয়েছিলেন যে, তিনি বিজেপিতেই আছেন। অন্য কোথাও যাচ্ছেন না।