২৯ জানুয়ারি বাংলায় দুদিনের সফরে আসার কথা ছিল অমিত শাহের। ৩০ জানুয়ারি বনগাঁর ঠাকুর নগরে সভা করার কথা ছিল ওনার। কিন্তু দিল্লীতে ইজরায়েলের দূতাবাসের সামনে বিস্ফোরণের জেরে অমিত শাহের বঙ্গ সফর বাতিল হয়। ৩১ জানুয়ারি হাওড়ার ডুমুরজলাতে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে সভায় যোগ দেন তিনি। তখন থেকে অমিত শাহ কবে আসবেন এই নিয়ে চলছিল বিশ্লেষণ। অবশেষে আজ দিনক্ষণ ঘোষণা করলেন বিজেপির সাংসদ।
বনগাঁর বিজেপির সাংসদ শান্তনু ঠাকুর শনিবার একটি সাংবাদিক বৈঠকে জানান যে, আগামী ১১ ফেব্রুয়ারি ঠাকুরনগরে সভা করতে আসছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ। শান্তনু ঠাকুর জানান, ১১ ফেব্রুয়ারি বিকেল সাড়ে তিনটের সময় ঠাকুরনগরে মতুয়াদের উদ্দেশ্যে বার্তা দেবেন অমিত শাহ।
প্রসঙ্গত, অমিত শাহের সফর বাতিল হওয়ায় মতুয়াদের মধ্যে যেমন হতাশা দেখা দিয়েছিল, তেমনই তাঁদের ক্ষোভও স্পষ্ট হয়েছিল। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মতুয়ারা সেদিন অমিত শাহকে দেখার জন্য এবং নগরিকত্ব আইন নিয়ে তিনি কি বলছেন সেটা জানার জন্য এসেছিল। কিন্তু সভা বাতিল হওয়ায় তাঁরা হতাশা এবং ক্ষোভে ফেটে পড়ে।
আগামী ১১ ফেব্রুয়ারি মতুয়াদের নাগরিকত্ব নিয়ে বড় ঘোষণা করতে পারেন অমিত শাহ। মতুয়ারা ধর্মীয় কারণে বাংলাদেশ থেকে এদেশে এসে শরণ নিয়েছিল। আর তাঁরা এখানেই বসবাস শুরু করে দেয়। এবার সেই মতুয়াদের নিঃশর্ত নাগরিকত্ব দেওয়ার ঘোষণা করতে পারেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ।
কিছুদিন আগে গুঞ্জন উঠেছিল যে, তৃণমূলের মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের হাত ধরে শাসক দলে নাম লেখাতে পারেন অমিত শাহ। সেই প্রসঙ্গে আজ ওনাকে প্রশ্ন করা হলে শান্তনু ঠাকুর বলেন, ‘উনি ভাবলেন কি করে আমি ওনার মতো মানুষের হাত ধরে রাজনীতি করব? এখন রাজ্যের যা পরিস্থিতি। উনিও কদিন পর বিজেপিতে যোগ দিতেই পারেন।”