বাংলায় বিধানসভা নির্বাচনের প্রথম দফার ভোট হয়েছে শনিবার। চব্বিশ ঘন্টার মধ্যেই দিল্লিতে সাংবাদিক বৈঠক করে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ দাবি করলেন, প্রথম দফায় যে ৩০টি আসনে ভোট হয়ে গিয়েছে, সেখানে ২৬টি আসনেই জিতবে বিজেপি।
তাঁর কথায়, বিজেপি এই ৩০ আসনের মধ্যে যতগুলো আসন জেতার কথা ভেবেছিল, তার থেকেও বেশি আসনে জিতবে বলে রাজ্য নেতারা তাঁকে রিপোর্ট দিয়েছেন। অর্থাৎ বিজেপি একুশের ২০০ আসন পার করার যে লক্ষ্য নিয়ে তা পূর্ণ হবেই।
তাঁকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, কীসের ভিত্তিতে এই পূর্বানুমান করছেন আপনি? জবাবে অমিত শাহ বলেন, “আমি ভোটের আগে থেকেই বলছিলাম, দু’শ আসনে জিতব। আপনারা মানতেই চাইছিলেন না। প্রতিবার বাংলায় প্রচারে গেলে যে উৎসাহ দেখতে পাই তার ভিত্তিতেই এই দাবি করছিলাম।”
অমিত শাহ এই দাবি করার আগেই শনিবার সন্ধ্যায় কৈলাস বিজয়বর্গীয়, দিলীপ ঘোষ, অমিত মালব্যরা দাবি করেছেন, প্রথম দফায় স্যুইপ করেছে বিজেপি। এ বার দ্বিতীয় ও পরের দফার ভোটের দিকে নজর দেওয়া হবে।
পর্যবেক্ষকদের অনেকের মতে, এ হেন আত্মবিশ্বাস দেখিয়ে আসলে বাংলায় ভোটারদের প্রভাবিত করতে চাইছে। শনিবার ভোটে দুটি দৃশ্য দেখা গিয়েছে, বরাবর ভোটের দিন বিরোধীরা অভিযোগ করে তৃণমূল ভোট লুঠ করছে, বিরোধীদের উপর হামলা করছে, ছাপ্পা হয়েছে। কিন্তু শনিবার দেখা যায়, দিনভর বিজেপি ও নির্বাচন কমিশনের উপর দোষারোপ করেছে তৃণমূল। আর ভোট গ্রহণ পর্ব শেষ হওয়ার আগেই কমিশনকে ধন্যবাদ জানিয়ে কৈলাস বিজয়বর্গীয়রা বলেছেন, ভোট শান্তিপূর্ণ ভাবে করানোর জন্য ধন্যবাদ।
রবিবারও অমিত শাহ বলেন, বাংলার ভোটে হিংসা খুবই প্রত্যাশিত ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছিল। শনিবার এই প্রথম কোনও ভোট হল, যখন কেউ হতাহত হয়নি। ভোট শান্তিপূর্ণ হয়েছে। মানুষ নিজের ভোট নিজে দিতে পেরেছে। এটা খুবই শুভ সঙ্কেত। বাংলার মহিলাদেরও অভিনন্দন জানাচ্ছি। কারণ মহিলারা বিপুল সংখ্যায় ভোট দিয়েছেন।
শনিবার প্রথম দফার ভোট হয়েছে অসমেও। সেখানে ৪৭টি আসনে ভোট গ্রহণ হয়েছে। অমিত শাহ এদিন দাবি করেন, অসমে প্রথম দফায় ৪৭টি আসনের মধ্যে ৩৭টিতেই জিতবে বিজেপি।