তৃণমূল কংগ্রেসের সভায় লোক হচ্ছে না আর সেই জন্যই মিছিল করছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিরোধীদের সভায় অনুমতি দিচ্ছেন না তিনি। কিন্তু আমজনতা ওনার সভার অনুমতি দেবে না। নির্বাচনী প্রচারে রাজ্যে এসে এভাবেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তোপ দাগলেন বিজেপি সভাপতি।
অমিত শাহ বলেন প্রথম দু’দফারভোটের পরেই মমতা ঘাবড়ে গেছে, ভয় পেয়েছেন। আর সেই কারণেই কমিশনের ওপর চাপ দিচ্ছেন তিনি বলেন এখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গণতন্ত্রের কথা মনে পড়ছে। অথচ বাংলায় আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। ব্যাপক হারে বেড়েছে দুর্নীতি। পরিকাঠামোগত কোন উন্নয়ন হয়নি। সম্প্রতি পঞ্চায়েত নির্বাচনে ৩৭ শতাংশ মানুষ ভোট দিতে পারেননি। এই পরিস্থিতি থেকে বাংলার পরিবর্তন প্রয়োজন।
অমিত শাহ বলেন সারা ভারতবর্ষ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মোদীকেই আবার দেখতে চায়। প্রথম দু’দফায় বাংলায় প্রায় ৮১শতাংশ ভোট পড়েছে। বড় পরিবর্তন হতে চলেছে। সেটা বুঝতে পেরেই তৃণমূল সুপ্রিমো ভয় পেয়েছেন।
শাহ বলেন, বিজেপি বিরোধীদের কাছে কোন স্পষ্ট নীতি নেই দেশের সমস্যার সমাধান করার। কোন নেতাও নেই তাদের কাছে। সেখানে মোদীর নেতৃত্ব গোটা দেশেই সমাদৃত। তিনি বলেন বিজেপিতে রয়েছে আভ্যন্তরীণ গণতন্ত্র। অথচ বিরোধীরা পরিবার তন্ত্রের বিশ্বাসী।
তার কথায়, গত পাঁচ বছরে সারা বিশ্বে ভারতবর্ষের যে খ্যাতি বেড়েছে তার ধারাকে অব্যাহত রাখতেই আরেক বার মোদী সরকারকে ক্ষমতায় আনতে আহ্বান জানান । তিনি বলেন বিজেপি মজবুত সরকার হাওয়ায় যে কোন কঠোর সিদ্ধান্ত নিতে ভয় পায়নি। আর দেশ সেটা বোঝে। একই সঙ্গে তিনি মোদি সরকার কর্তৃক রাজ্যের জন্য ফোর লেন হাইওয়ছ, গ্রামীণ সড়ক, মেট্রোর কাজের খতিয়ান তুলে ধরে আশ্বাস দেন ২০২২ সালের পরে দেশে এমন কোন পরিবার থাকবে না যার কাছে নিজের বাড়ি থাকবে না।