ঠিক আটদিনের মাথায় ফের রাজ্যে আসছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। রাজ্য বিজেপি সূত্রে খবর, আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারি কাকদ্বীপ থেকে ‘পরিবর্তন যাত্রা’-র উদ্বোধন হবে অমিত শাহের হাত ধরেই।
রাজ্য বিজেপি-র উদ্যোগে ইতিমধ্যেই চারটি ‘পরিবর্তন যাত্রা’র সূচনা হয়েছে। প্রথম তিনটির যাত্রা যথাক্রমে নবদ্বীপ, তারাপীঠ ও ঝাড়গ্রাম থেকে সূচনা করেছেন দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডা। রাজ্য বিজেপি সূত্রে খবর, আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারি সেই রথযাত্রা শুরু হবে দক্ষিণ ২৪ পরগনার সাগর থেকে। তবে আনুষ্ঠানিক সূচনা হবে কাকদ্বীপে। আর সেখানেই অমিত শাহর হাজির থাকার কথা। একই সঙ্গে কয়েকটি রাজনৈতিক কর্মসূচিতে যোগ দিতে পারেন তিনি। পাশাপাশি কলকাতা জোনেও জনসভা করতে পারেন তিনি। আবার হুগলির সিঙ্গুরেও অমিত শাহর সমাবেশ চাইছে রাজ্য বিজেপি। তবে রাজ্য বিজেপি-র নেতারা শাহর সফরসূচি চূড়ান্ত হওয়ার আগে কোথায় কোথায় জনসভা বা রোড শো হতে পারে তা নিয়ে এখনই কিছু জানাতে চাইছেন না।
ইতিমধ্যেই বাংলায় এসে বীরভূম, পশ্চিম মেদিনীপুর সমাবেশ করেছেন অমিত শাহ। হাওড়ায় আসতে না পারলেও ডুমুরজলার সভায় ভার্চুয়াল বক্তব্য রেখেছেন। ১১ ফেব্রুয়ারি, বৃহস্পতিবার কোচবিহার থেকে রথযাত্রার সূচনা করেন তিনি৷ পরে দুপুরে ঠাকুরনগরে জনসভায় যোগ দেন।
আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি-র পাখির চোখ বাংলা। তৃণমূল সরকারকে ক্ষমতা থেকে সরাতে একপ্রকার মরিয়া গেরুয়া শিবির। রাজ্য বিজেপি অনেক আগেই জানিয়েছিল, বিধানসভা নির্বাচন যত এগিয়ে আসবে তত ঘন ঘন অমিত শাহ, নরেন্দ্র মোদী ও জেপি নড্ডারা বাংলায় আসবেন। গত কয়েক মাসে বেশ কয়েক বার এসেছেন নড্ডা ও অমিত।
এদিকে, দু’সপ্তাহের মধ্যে ফের রাজ্যে আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ২২ ফেব্রুয়ারি হুগলিতে বিজেপির জনসভায় অংশ নেবেন নরেন্দ্র মোদী। শোনা যাচ্ছে নোয়াপাড়া–দক্ষিণেশ্বর রুটে মেট্রো রেলের উদ্বোধন করতে পারেন তিনি। তবে কবে উদ্বোধন হবে এবং সেখানে প্রধানমন্ত্রী আসবেন কি না তা এখনও চূড়ান্ত হয়নি। ওই দিন মোদী এলে জলশক্তি মন্ত্রকের একটি অনুষ্ঠানেও যোগ দিতে পারেন।