কোভিড পরিস্থিতিতেও রেলে (Rail) প্রচুর নতুন নির্মাণ কাজ চলছে। এই নির্মাণ ঘিরে নানা ধরনের কারচুপির অভিযোগ উঠেছে। উঠছে দুর্নীতির অভিযোগও। লিলুয়া রেলের এলসিডি গেট সংলগ্ন এলাকায় বেলুড় মঠ লাইনের নতুন কেবিন ভবন নির্মাণে পুরনো ইঁটের ব্যবহার হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
সুবিশাল দ্বিতল ভবনটির গাঁথনি পুরোনো ইঁটে তৈরি করে, ও তার উপর প্লাস্টার করে দেওয়ায় ক্ষোভ দেখা তৈরি হয়েছে। নির্মাণ কাজে পুরোনো সামগ্রী ব্যবহার রেলের টেন্ডার আইন বিরোধী। এমনকী, এই ধরনের নির্মাণ আইন নেই বলে জানান হাওড়ার ডিআরএম ইশাক খান। পাশাপাশি তিনি জানান, নির্মাণ কাজের জন্য আলাদা বিভাগ রয়েছে। তারাই নির্মাণ পরিচালনা করে। এই বিষয়ে হাওড়ার সিনিয়র ডিইএন (১) কোনও মন্তব্য করতে চাননি।
ঘটনা প্রসঙ্গে পূর্ব রেলের কর্মী সংগঠন মেনস ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক অমিত ঘোষ বলেন, “এই ধরণের কাজ চূড়ান্ত বেআইনি। রেলের কোনও নির্মাণ ভেঙে পুনরায় করলেও কোনও পুরনো সামগ্রী ব্যবহার করা যায় না। এখানে নতুন ভবন নির্মাণে পুরোনো ইটের ব্যবহার দুর্নীতির চূড়ান্ত পর্যায়। আমরা প্রতিবাদ করব।”
হাওড়া থেকে বেলুড় মঠের ট্রেন রয়েছে। ব্যান্ডেলের দিক থেকে বেলুড় মঠে আসার প্রকল্পের কাজ অনেক দিন ধরে চলছে। নির্মাণ শেষ হলে ট্রেনের সংখ্যা বাড়বে। সেই কারণে এলসিডি সংলগ্ন লেভেল ক্রসিংয়ের পাশে তৈরি হচ্ছে কেবিন ও অফিস। যেখান থেকে সিগন্যাল নিয়ন্ত্রণ হবে। সেই কেবিন নির্মাণের বরাত দেওয়া হয়েছে বেসরকারি সংস্থাকে। সেই নির্মাণে পুরোনো ইটের ব্যবহার নিয়ে উঠল অভিযোগ। নির্মাণকারী সংস্থা দাবি করেছে, তাঁদের সঙ্গে যেমন চুক্তি হয়েছে, তেমন কাজ হচ্ছে।