তৃণমূল (Tmc)কংগ্রেসের নেতা কথা কোচবিহার জেলা পরিষদের বন ও ভূমি কর্মাধ্যক্ষ নুর আলম হোসেনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও ব্ল্যাকমেইলিং-এর অভিযোগ করলেন এক প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষিকা। ওই শিক্ষিকার অভিযোগ, গত অক্টোবর মাসে তিনি যখন বাড়িতে একা ছিলেন সেই সময় ওই তৃণমূল নেতা বাড়িতে এসে তাকে ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ করে, এবং তার ছবি তুলে রাখে। সেই ছবি দেখিয়ে ব্ল্যাকমেইল শুরু করে এবং বেশ কয়েকবার তাঁকে ধর্ষণ করে। অবশেষে গতকাল দিনহাটা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ওই শিক্ষিকা।
যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা। তার দাবি রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছেন তিনি। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে দিনহাটা থানার পুলিশ।
নুর আলম হোসেন একসময় দিনহাটা ২ ব্লকের তৃণমূল কংগ্রেসের ব্লক সভাপতি ছিলেন। দিনহাটায় অত্যন্ত প্রভাবশালী এই নেতা।স্বাভাবিকভাবেই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে কোচবিহার জেলা জুড়ে। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তিনি। তাঁর দাবি বিরোধী দল বিজেপি রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র করে তার বিরুদ্ধে এই মিথ্যে অভিযোগ নিয়ে আসছে।
যদিও এই দাবিকে উড়িয়ে দিয়ে বিজেপি জেলা সভানেত্রী মালতি রাভা রায় বলেন, “তৃণমূল নেতাদের এটা চরিত্র। নিজের অপরাধ ঢাকতে বিজেপির দিকে অভিযোগের আঙুল তুলছে। পুলিশ যদি সঠিকভাবে তদন্ত করে তাহলেই আসল সত্য বেরিয়ে আসবে। আমরা অভিযুক্ত নেতার দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি করছি,”।
এই অভিযোগ নিয়ে যথেষ্টই বিব্রত জেলা তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব। তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা কার্যকারী সভাপতি পার্থ প্রতিম রায় বলেন, “নুর আলম হোসেন যদি দোষী হন তবে পুলিশ প্রশাসন তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে। দলের পক্ষ থেকেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে এই ঘটনা সত্যি না এর পেছনে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র আছে তা আগে খতিয়ে দেখতে হবে”।
অভিযুক্ত ওই স্কুলশিক্ষিকার দাবি, নুর আলম হোসেন (Nur Alam Hossain)তাদের পারিবারিক বন্ধু। গত অক্টোবর মাসে রীতিমতো হুমকি দিয়ে তাকে ধর্ষণ করে। এরপর ছবি তুলে তাকে ব্ল্যাক মেইল করা শুরু করে। এভাবে চলার পর যখন সয্যের সীমা ছাড়িয়ে গেছে সেই সময় আমি বিষয়টা আমার স্বামীকে জানাই। তার পরেই দিনহাটা থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।