মেরুকরণের রাজনীতির ফল ভুগছে মানুষ। ভবিষ্যতে আরও ভুগবে। ভাটপাড়াসহ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হিংসার ছবি উঠে আসছে। সেই অঞ্চলগুলিতে গিয়ে সেই এলাকার পরিস্থিতি পরখ করে দেখেছে অল বেঙ্গল মাইনোরিটি অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরা। সেখান থেকেই তাঁদের এমন উপলব্ধি বলে জানাচ্ছেন৷
ভোট পরবর্তী পশ্চিমবঙ্গে অশান্তির পরিস্থিতি দেখে উলুবেড়িয়ার মৌবেশিয়ায় এক গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা সভায় বশে অল বেঙ্গল মাইনোরিটি অ্যাসোসিয়েশন। সেখানে রাজ্যের এই উত্তপ্ত পরিস্থিতি নিয়ে তাঁদের বিভিন্ন সদস্য এবং তাঁদের সম্প্রদায়ের অন্যন্য সংগঠনের সঙ্গে তাঁদের আলোচনা হয়।
সংগঠনের সভাপতি আবু আফজাল জিন্না বলেন , “আমরা বিভিন্ন জায়গার মানুষের সঙ্গে কথা বলে তাঁদের অভিব্যক্তিতে যা বুঝতে পারছি সেটা হল, রাজ্যে বর্তমানে সম্পূর্ণ মেরুকরণের রাজনীতি চলছে। এই জায়গা থেকে মানুষকে বের হতে হবে। আমরা চেষ্টা করছি কিন্তু কোথাও মেরুকরণের বিষ এমন জায়গায় চলে গিয়েছে যে আমরা বুঝতে পারছি না এর সমাধান কিভাবে হবে।”
তিনি বলেন , “আমরা নিজেদের পক্ষ থেকে যথাসম্ভব চেষ্টা করছি। আমরা মনে করি এই পরিস্থিতি মানুষকে বুঝতে হবে, না হলে এর পরিণাম আরও খারাপ হবে আগামী দিনে। কোনও হিন্দু এর ফল ভুগবে না, কোনও মুসলিম এর ফল ভুগবে না। ফল ভুগবে না কোনও খ্রিষ্টান বা কোনও বৌদ্ধ, জৈন। ফল ভুগবে মানুষ। হানাহানিতে মরছে মরবে মানুষ। না শুধরোলে রাজ্য , দেশ ধীরে ধীরে শেষ হয়ে যাবে কিছু করা যাবে না।”
সংগঠনের সভায় রাজ্যের পরিস্থিতি ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা হয়। প্রাক্তন আমলা বাওজুল সাহেব বলেন , “রাজ্যে অশান্তির বাতাবরণ তৈরি করার অপচেষ্টা চলছে। সে বিষয়ে মানুষকে সচেতন করতে হবে। ছোট ছোট ভাবে লক্ষ্য নিয়ে এলাকাভিত্তিকভাবে কাজ করতে হবে।”
সাধারণ সম্পাদক নাজিবুল হক মল্লিক বলেন , “ধর্মের ঊর্ধ্বে উঠে শান্তি প্রিয় মানুষ যদি সাধারণ মানুষকে শান্তির পথ না বাতলে দেয়, তাহলে বাংলার মানুষের অধিকার হরণ হবে। সেটা আমরা হতে দিতে পাড়ি না, তাই আমাদের চেষ্টা থাকবে রাজ্যে শান্তির পরিস্থিতি ফিরিয়ে আনা, মানুষকে মানুষ হিসাবে বিচার করার পথ দেখাতে হবে ধর্মের বিচারে নয়।”