কৃষকদের সঙ্গে আলোচনার সবরাস্তা খোলা আছে, সর্ব দল বৈঠকে জানালেন প্রধানমন্ত্রী

বাজেটের আগের সর্বদল বৈঠকে কৃষি আইন ইস্যু নিয়ে বিরোধীদের আশ্বস্ত করার সবরকম প্রচেষ্টা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী । গণতন্ত্র দিবসে দিল্লিতে কৃষকদের ট্রাক্টর মিছিলকে ঘিরে গোলমালের পরও কৃষকদের সঙ্গে আলোচনার রাস্তা খোলা রাখল কেন্দ্র। বাজেট অধিবেশনের আগে সর্বদল বৈঠকের আগে সেকথা জানালেন খোদ প্রধানমন্ত্রী। নরেন্দ্র মোদীর সাফ কথা, একটা ফোনেই কথা বলবেন কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমার। শনিবার ওই বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কৃষিমন্ত্রী কৃষকদের যা বলেছিলেন সেটাই ফের বলছি। কৃষি আইন নিয়ে এখনও কোনও সমঝোতা হয়নি। তবে কেন্দ্রের একটা প্রস্তাব ছিল। আলোচনা রাস্তা খোলা রয়েছে। এনিয়ে যেকোনও সিদ্ধান্ত আলোচনার মাধ্যমেই নিতে হবে। আমাদের সবাইকে দেশের কথা ভাবতে হবে।’  

কৃষি আইন নিয়ে সরকারের সঙ্গে সর্বশেষ আলোচনায় কেন্দ্রের তরফে বলা হয়, আগামী দেড় বছর নয়া ৩ কৃষি আইন লাগু করবে না কেন্দ্র। কিন্তু তা প্রত্যাহার করা হবে না। এনিয়ে ভেবে দেখুক কৃষকরা। তবে কৃষকদের দাবিই ছিল, অন্য কোনও কথা নয়, আইন প্রত্যাহার করতে হবে। এদিকে, ট্রাক্টর মিছিলে দিল্লিতে লালকেল্লা সহ একাধিক জায়গায় হাঙ্গামার পর পরিস্থিতি অন্য দিকে মোড় নেয়। দুটি কৃষক সংগঠন আন্দোলন থেকে সরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। অন্যদিকে, পুলিশও চাপ সৃষ্টি করতে থাকে আন্দোলনকারীদের উপরে। এরকম অবস্থায় ফের সরকারের প্রস্তাব খেতিয়ে দেওয়ার কথা বললেন প্রধানমন্ত্রী। বাজেট পেশের আগে শনিবার প্রথা মেনেই সংসদে সর্বদল বৈঠক ডেকেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী  । বৈঠকের কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল কৃষক বিক্ষোভ। বিরোধী সাংসদদের উপস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ”আমরা কৃষকদের এই আইন স্থগিত রাখার যে প্রস্তাব দিয়েছিলাম তা এখনও আছে। আমার সরকার এখনও ১৮ মাসের জন্য এই আইন প্রত্যাহারে প্রস্তুত।” মোদী জানান, কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমর  এখনও কৃষকদের ফোনের অপেক্ষায়। প্রধানমন্ত্রী বলেন,”আমরা কৃষকদের এও বলেছি যে, আইন প্রত্যাহার ছাড়া বিকল্প কোনও প্রস্তাব থাকলে, আপনারাও সেই প্রস্তাব রাখতে পারেন।”

প্রসঙ্গত, বাজেট অধিবেশনের আগে ২০টি বিরোধী দল একযোগে রাষ্ট্রপতির ভাষণ বয়কট করলেও, শনিবার প্রধানমন্ত্রীর ডাকা সর্বদল বৈঠকে কমবেশি সব দলই উপস্থিত ছিল। কংগ্রেসের তরফে গুলাম নবি আজাদ, তৃণমূলের তরফে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, শিব সেনার তরফে বিনায়ক রাউত এবং অকালি দলের তরফে বলবিন্দর সিং বৈঠকে বক্তব্য রাখারও সুযোগ পান। উপস্থিত ছিলেন অন্য বিরোধী দলের প্রতিনিধিরাও। তৃণমূল-সহ বিরোধীরা অবশ্য এই তিনটি আইন প্রত্যাহার ছাড়া অন্য কোনও সমাধানই মানতে রাজি নন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.