কলকাতাঃ আগে মন্ত্রিত্ব ছেড়েছিলেন, এরপর গতকাল ছাড়লেন বিধায়ক পদ আর এবার আজ তৃণমূলের সাথে সমস্ত সম্পর্ক ছিন্ন করেন প্রাক্তন পরিবহণ মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। ওনার পদত্যাগের পর রাজ্য জুড়ে তৃণমূল নেতাদের দল ছাড়ার হিড়িক পড়ে গিয়েছে। শুভেন্দুর দল ছাড়ার পর সবার আগে নিজের পদ থেকে ইস্তফা দেন আসানসোলের প্রাক্তন মেয়র জিতেন্দ্র তিওয়ারি। তবে তিনি এখনো দল ছাড়েন নি। আরেকদিকে, কেউ দল আর পদ দুই থেকেই পদত্যাগ করছেন।
আজ শিলিগুড়িতে সাংবাদিক বৈঠক করে দল ছাড়লেন শুভেন্দু অধিকারীর অনুগামী যুব তৃণমূলের প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক দীপঙ্কর আরোরা। এছাড়াও আজ গুরুত্বপূর্ণ পদ থেকে ইস্তফা দেন আসানসোলের তৃণমূল নেতা কর্নেল দীপ্তাংশু চৌধুরী (অবসরপ্রাপ্ত)। তৃণমূলের প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক দীপঙ্কর আরোরা আজ জানান, শুভেন্দু অধিকারী যেদিকে যাবেন, আমরাও সেদিকেই যাব। কারণ ওনাকে দেখেই আমরা তৃণমূল করতাম।
তিনি দলের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন, এতদিন আমরা দলটাকে ভালোবেসে এসেছি, কিন্তু এই দলে স্বচ্ছ আর সৎ কর্মীদের কোনও জায়গা নেউ। তাই এখন অনেকেই তৃণমূল ছেড়ে চলে যাবেন। তিনি বলেন, দলের ভিতরে অনেকেই নিজেকে বিশাল কিছু ভাবেন। মাত্র কয়েকজনের হাত ধরেই দলটা চলছে। এদলে সাধারণ কর্মীদের কোনও গুরুত্ব নেই।
বলে রাখি, দীপঙ্কর অরোরা ২০১৪ সালে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েহচিলেন। এরপর আবার তিনি তৃণমূলেই ফিরে আসেন। আর এখন আবার তিনি তৃণমূল ছাড়লেন। ওনার পদত্যাগ নিয়ে দার্জিলিংয়ের তৃণমূল জেলা সভাপতি বলেন, অ চলে গেলে দলের কোনও ক্ষতি হবে না। বাচ্চা ছেলে, ভুল বুঝলে আবারও দলে চলে আসবে।
আরেকদিকে, মালদাতেও পদত্যাগ করেন তৃণমূলের হেভিওয়েট নেতা দ্রোণাচার্য ব্যানার্জি। তিনি নিজের পদ আর দল দুই থেকেই পদত্যাগ করেছেন। এছাড়াও দুর্গাপুর নগর নিগমের বোরো চেয়ারম্যান পদ থেকে ইস্তফা দেন তৃণমূল নেতা চন্দ্রশেখর ব্যানার্জী।