সমগ্র দেশের পাশাপাশি রাজ্যজুড়েও শুরু হয়ে গিয়েছে টিকাকরণের কাজ। বিভিন্ন হাসপাতালে চলছে টিকাকরণ৷ প্রথম পর্যায়ে টিকা পাবেন চিকিৎসক-নার্স সহ সকল স্বাস্থ্যকর্মী ও ফ্রন্টলাইন ওয়ার্কাররা৷ পরবর্তী পর্যায়ে টিকা দেওয়া হবে প্রবীণ নাগরিকদের৷ তৃতীয় পর্যায়ে টিকা পাবেন বাকিরা৷ তবে এখনই শিশু বা কিশোরদের এই তালিকায় রাখা হয়নি৷ আগামী দিনে প্রত্যেক দেশবাসী করোনার টিকা পাবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী৷
বলে রাখা ভালো, অন্যান্য টিকার সঙ্গে করোনার টিকার কিছু পার্থক্য রয়েছে৷ এক্ষেত্রে কঠোর ভাবেই বেশ কিছু নিয়ম মেনে চলতে হচ্ছে৷ কোভ্যাক্সিন ও কোভিশিল্ডে আস্থা থাকলেও, এর কার্যকারীতা ও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নিয়ে সম্পূর্ণ চিন্তামুক্ত হতে পারেনি দেশ৷ গত ৩ জানুয়ারি জোড়া টিকায় অনুমোদন দেন ড্রাগস কন্ট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়া (ডিসিজিআই) ভিজে সোমানি৷ জরুরি ভিত্তিতে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের কোভিশিল্ড এবং ভারত বায়োটেকের কোভ্যাক্সিনকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়৷
টিকাকরণের জন্য কী কী নিয়ম মেনে চলতে হবে তা দেখা নেওয়া যাক-
•টিকা নেওয়ার জন্য প্রথমে আসতে হবে প্রি-ভ্যাকসিনেশন এরিয়াতে। এর জন্য আগে থেকে নাম নথিভুক্ত থাকতে হবে।
• প্রি-ভ্যাকসিনেশন এরিয়াতে আপনার যাবতীয় নথি যাচাই করে দেখা হবে৷
• এখান থেকে ছাড়পত্র পেলে তবেই নির্দিষ্ট ঘরে গিয়ে টিকা নিতে হবে৷
•টিকা নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ি যাওয়া যাবে না৷ আধ ঘণ্টা পোস্ট ভ্যাকসিনেশন এরিয়াতে পর্যবেক্ষণে থাকতে হবে৷
•এই সময় কোনও রকম শারীরিক সমস্যা বা প্রতিক্রিয়া দেখা দিলে অবিলম্বে চিকিৎসককে জানাতে হবে৷ স্বাস্থ্য দফতরের তরফে এমনই নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে৷
•টিকারকরণের পর মিলবে একটি কার্ড৷
•দ্বিতীয় ডোজ কবে পাবেন, তা ফোনে জানানো হবে৷
•মোটামুটি এক মাসের ব্যবধানে দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হবে৷
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর দাবি, ইতিহাসে এত বড় টিকাকরণ কর্মসূচি আগে কখনও হয়নি। টিকা নেওয়ার পরও দেশবাসীকে মাস্ক-দূরত্ববিধি ও যাবতীয় সতর্কতা মেনে চলার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। করোনা টিকার কার্যকারীতা নিয়ে দেশের মানুষ যাতে কোনও গুজবে কান না দেয়, সেই পরামর্শও দিয়েছেন তিনি।