ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের পুরনো কাঁটাতারের বেরা বদলে দেওয়ার প্রক্রিয়া চালাচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার। বসানো হচ্ছে অত্যাধুনিক ফেন্স। আর সেটাকে বলা হচ্ছে Anti-Cut Fence। সূত্রের খবর, অত্যাধুনিক এই ফেনসিং কেটে সীমান্ত পার করা অনুপ্রবেশকারিদের পক্ষে কষ্টসাধ্য হবে।

ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের ফেনসিং লাঠিয়ালা শিলচর সেক্টরের একটি পাইলট প্রজেক্ট যে কাজ বর্তমানে চলছে। সূত্রের দাবি, ৭.১৮ কিলোমিটার বর্ডার এলাকা জুড়ে এই প্রজেক্টের মোট খরচ ১৪.৩০ কোটি। এক কিলোমিটার ফেন্সিংয়ের মোটামুটি খরচ ১.৯৯ কোটি টাকা।

একইরকমভাবে বিভিন্ন অংশে ভারত-পাকিস্তান কাঁটাতারের বেরা তৈরির কাজ চলছে। কিছু অংশে ফেন্সিংয়ের কাজ শেষ হয়েছে।

সম্প্রতি জানা গিয়েছে, পাকিস্তানি সেনা এবং আইএসআইয়ের মাধ্যমে ৩০০ জন জঙ্গি ভারতের সীমানা পেরিয়ে কাশ্মীরে ঢোকার চেষ্টা করছে। জানা যাচ্ছে, সকল জঙ্গিরাই আফগান এবং তালিবান। ভারতের গোয়েন্দা সংস্থার কিছু তথ্য পেয়েছে, যেখানে শোনা যাচ্ছে জঙ্গিরা পাস্তো ভাষায় কথা বলছেন।

সূত্রের খবর, মার্চ-এপ্রিলে যখন বরফ গলে যাবে তখন জঙ্গিরা কাশ্মীরের ঢোকার ছক কষছে। এই মুহূর্তে তাঁরা আন্তর্জাতিক সীমানা এবং পাকিস্তানের নিয়ন্ত্রণ রেখার কাছেই রয়েছে বলে জানা গিয়েছে গোয়েন্দা সূত্রে।

সম্প্রতি গোয়েন্দা সংস্থার একটি রিপোর্ট প্রকাশ্যে এসেছে যেখানে দেখা গিয়েছে জামাত-উল-মুজাহিদিন বাংলাদেশকে ভারতে নাশকতামূলক কাজ করার জন্য আর্থিক সাহায্য করছে পাকিস্তান। পাশাপাশি ভারতে জঙ্গিমূলক কার্যকলাপের জন্য পাকিস্তানের ইন্টার-সার্ভিস-ইন্ট্যালিজেন্স রোহিঙ্গাদের আর্থিক সাহায্য দিয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে, তেমনই বিস্ফোরক তথ্য দিচ্ছে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা।

কমপক্ষে ৪০ জন বাংলাদেশের কক্সবাজারে তাঁদের জঘন্য উদ্দেশ্য সাধনের জন্য থাকছে। এই প্রশিক্ষণ দিচ্ছে জেএমবি, যারা বাংলাদেশের সন্ত্রাস দল হিসেবে পরিচিত।

সূত্রের খবর, আইএসআই সৌদি আরব, মালয়েশিয়া, ইউনাইটেড কিংডম এবং পাকিস্তান থেকে প্রশিক্ষণের জন্য আর্থিক সাহায্য পাচ্ছে। প্রথম ধাপে জেএমবিকে এক কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে পাক ইন্টার-সার্ভিস-ইন্ট্যালিজেন্স সংস্থাকে।উল্লিখিত গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্টটি জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা (এনআইএ)-এর সঙ্গে শেয়ার করা হয়েছে, পাশাপাশি দেওয়া হয়েছে সীমান্ত রক্ষা বাহিনী এবং গবেষণা এবং বিশ্লেষণ শাখার সঙ্গে শেয়ার করা হয়েছে। যারা জেএমবি জঙ্গি এবং রোহিঙ্গাদের উপর কড়া নজরদারি চালাচ্ছে।

২০১৯ সালের মে মাসে সন্ত্রাসমূলক কার্যকলাপের জন্য জামাত-উল-মুজাহিদিনকে নিষিদ্ধ করেছে ভারত। ২২ বছর বয়সী জেএমবি সন্দেহে পশ্চিমবঙ্গে গ্রেফতার করা হয়। বেঙ্গালুরুতে নাশকতামূলক কার্যকলাপের জন্য ২০১৯ সালে ডিসেম্বরে তাঁকে গ্রেফতার করেছে এনআইএ।

১৯৯৮ সালের এপ্রিল মাসে বাংলাদেশের রাজধানি ঢাকার পালমপুর জামাত-উল-মুজাহিদিন প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রতিষ্ঠা করেছেন আব্দুর রহমান। এই দল সক্রিয়ভাবে জালনোটের কারবারে যুক্ত। পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গ এবং অসমের আন্তর্জাতিক সীমান্তে ইন্টার-সার্ভিস-ইন্ট্যালিজেন্সের সাহায্যে সক্রিয়ভাবে অভিযান চালানোর জন্যি পরিচিত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.