শুক্রবার ৮ দফা ভোট ঘোষণা করার ২৪ ঘন্টা না কাটতেই এডিজি আইন-শৃঙ্খলা পদ থেকে জাভেদ শামিমকে সরিয়ে দিল নির্বাচন কমিশন। তার পরিবর্তে এডিজি আইন-শৃঙ্খলা পদে বসানো হয়েছে দমকলের বর্তমান ডিজি তথা সিনিয়র আইপিএস অফিসার জগমোহনকে। মাত্র কয়েকদিন আগেই রাজ্য পুলিশের অন্যতম শীর্ষ পদ এডিজি আইন-শৃঙ্খলা থেকে জ্ঞানবন্ত সিংকে সরিয়ে জাভেদ শামিমকে বসিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
কমিশনের এই পদক্ষেপকে গুরুত্বপূর্ণ এবং তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। এবারের নির্বাচনে নজিরবিহীন ভাবে দুজন পুলিশ পর্যবেক্ষক নিয়োগ করেছে নির্বাচন কমিশন। একজন ৮১-র ব্যাচের অন্ধ্রপ্রদেশের ক্যাডার আইপিএস অফিসার বিবেক দুবে। অন্যজন ৭৭ ব্যাচের মণিপুর ক্যাডারের আইপিএস অফিসার মৃণাল কান্তি দাস। শুক্রবারই তাঁরা দায়িত্ব নিয়ে নিয়েছেন। তারপরেই এই ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে নির্বাচন কমিশন।
ওয়াকিবহাল মহলের মতে কমিশনের এই পদক্ষেপ নেওয়ার কারণ রয়েছে। মুকুল রায়, শুভেন্দু অধিকারী, অধীর চৌধুরী, আব্দুল মান্নান, সুজন চক্রবর্তী সহ বিরোধীদের অভিযোগ যে বাংলায় পুলিশরাজ চালাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পুলিশ দিয়ে দল ও সরকার দুটোই চালাচ্ছেন তিনি। তাঁদের অভিযোগ, ভোটের সময় একশ্রেণির পুলিশকর্তা তৃণমূলের জেলা সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হন। বিরোধীরা ছাড়াও এ বিষয়ে সরব হয়েছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর।
কমিশন এইসব অভিযোগ জানে। এছাড়াও তাঁরা পঞ্চায়েত ভোটে ব্যালট বাক্স জলে ফেলে দেওয়া, গণনা কেন্দ্রে ঢুকে ব্যালট পেপার জ্বালিয়ে দেওয়ার মতো ঘটনা ঘটার পরেও এডিজি আইন-শৃঙ্খলা বিবৃতি দিয়ে বলেছেন মোটের উপর শান্তিপূর্ণ ভোট হয়েছে, আর বিরোধীরা বলেছেন গণতন্ত্রের প্রহসন হচ্ছে।
এবার ভোট এই ধরনের ঘটনাকে যথাসম্ভব নিয়ন্ত্রণ করতে চাইছে’ নির্বাচন কমিশন। তাই প্রথম থেকেই তা বুঝিয়ে দিতে এই পদক্ষেপ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ।