রুদ্রনীল বিজেপিতেই, শাহের পাশে দাঁড়িয়ে ছবিও তুললেন ‘ভিঞ্চি দা’

দেওয়াল লিখন স্পষ্ট ছিল। হলও তাই। কাস্তে-হাতুড়ি-তারা, জোড়া ফুল হয়ে শেষে পদ্মে মিশলেন অভিনেতা রুদ্রনীল ঘোষ।

মার্ক্সবাদ-লেনিনবাদ , সর্বহারার মতবাদ থেকে অনেক দিন আগেই মন উঠে গিয়েছিল তাঁর। পাড়ার কল সাড়ানোর কথা বললেও স্থানীয় নেতারা নাকি কিউবার কথা শোনাতেন, সেই রাগে সিপিএমের পার্টি মেম্বারশিপও ছেড়ে দিয়েছিলেন রুদ্রনীল। মাঝে কিছুটা সময় তৃণমূল ঘনিষ্ঠতা। সেই থেকে সরকারি কমিটির চেয়ারম্যান পদ। এবার ফের বদল। শেষমেশ বিজেপিতেই যোগ দিলেন রুদ্রনীল।

শনিবার বিকেলেই দিল্লি যান তিনি। এদিন শনিবার সন্ধ্যায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বাসভবনে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, বৈশালী ডালমিয়া, প্রবীর ঘোষাল, রথীন চক্রবর্তীদের সঙ্গে গেরুয়া শিবিরে নাম লেখালেন ভিঞ্চি দা।

রুদ্রনীল যে বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন সেই জল্পনা অনেক দিন ধরেই চলছিল। জন্মদিনের দিন শঙ্কুদেব পণ্ডাকে কথা দিয়েছিলেন তিনি কৈলাস বিজয়বর্গীয়র সঙ্গে দেখা করবেন। এর মধ্যে একদিন শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গেও বৈঠক হয় রুদ্রর। এমনিতে রাজীবের সঙ্গে তাঁর অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক। এবার সেই রুদ্রই রাজীবের পথ ধরে বিজেপিতে সামিল হলেন।

কথা ছিল, রবিবার ডুমুরজলার যোগদান মেলায় অমিত শাহের হাত থেকে পতাকা নেবেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, বৈশালী ডালমিয়ারা। দিল্লিতে বিস্ফোরণের জন্য শাহ আসতে পারেননি। তাই এদিনই চার্টার্ড বিমানে দিল্লি যান রাজীবরা। রুদ্র নিজেই দিল্লি যাওয়ার ইচ্ছাপ্রকাশ করেন। কিন্তু যেহেতু চার্টার্ড বিমানে আগে থেকে নাম দিতে হয় তাই রাজীবদের বিমানে দিল্লি যাননি এই অভিনেতা। অন্য বিমানের টিকিট তাঁকে কেটে দেওয়া হয়।

এমনিতে রুদ্রনীলের এই দলবদলের ধারাবাহিকতা নিয়ে ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেক মিম ছড়িয়ে পড়েছে। লেখা হয়েছে, ‘লালে ছিলেন রুদ্রনীল, তারপর হলেন রুদ্রনীল-সাদা এবার তিনি রুদ্রনীলকমল!’ কিন্তু তাতে বিশেষ আমল দেননি অভিনেতা। ‘মানুষের স্বার্থে কাজ’ করাকেই সব কিছুর ঊর্ধ্বে রেখেছেন তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.