ডিজিটাল রেশন কার্ডের সঙ্গে আধার সংযুক্তির কাজ দ্রুততর করার জন্য সোমবার একটি বিশেষ ঘোষণা করেছে খাদ্য ও সরবরাহ দফতর। তাদের তরফে জারি করা এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এখন থেকে ইকেওয়াইসি-র প্রক্রিয়ায় বায়োমেট্রিক অথেনটিকেশন (আঙুলের ছাপের মাধ্যমে) করা যাবে খাদ্য ও সরবরাহ দফতরের ইনসপেক্টর ও রেশনিং অফিসারের অফিস থেকেও। বাংলা সহায়তা কেন্দ্র থেকেও ওই কাজ করা যাবে। তাছাড়া আগের মতো রেশন দোকান থেকেও আধার সংযুক্তিকরণের কাজ করা যাবে। বাড়ি বাড়ি গিয়ে সার্ভেয়াররাও ওই কাজ করে দেবেন।
আধার কার্ডের সঙ্গে ডিজিটাল রেশন কার্ড সংযুক্ত করার জন্য যে কেউ ব্যক্তিগতভাবে নিকটবর্তী খাদ্য ও সরবরাহ দফতরের ইনসপেক্টর ও রেশনিং অফিসারের অফিসে উপস্থিত হতে পারবেন। সংশ্লিষ্ট অফিসাররা প্রথমে আবেদনকারীর ডিজিটাল রেশন কার্ড খতিয়ে দেখবেন। পরে তাঁর আধার নম্ব ক্যাপচার করা হবে। এরপরে রেশন কার্ডের মালিককে আঙুলের ছাপ দিতে হবে। অথেনটিকেশন শেষ হলে কম্পিউটারের স্ক্রিনে আবেদনকারীর নাম, জন্মের তারিখ ইত্যাদি দেখা যাবে।
সংশ্লিষ্ট অফিসাররা আধার কার্ডে দেওয়া তথ্যের সঙ্গে ডিজিটাল রেশন কার্ড মিলিয়ে দেখবেন আধার কার্ড ও রেশন কার্ডের মালিক একই ব্যক্তি কিনা। আধার লিঙ্কিং-এর জন্য পরিবারের প্রত্যেক সদস্যকে একইসঙ্গে আসতে হবে না। তাঁরা যে যার সুবিধামতো এলেই চলবে।
আধার কার্ড ও ডিজিটাল রেশন কার্ড বাদে পরিবারের অন্তত একজনের মোবাইল নম্বর লিঙ্কিং-এর কাজও খাদ্য ও সরবরাহ দফতরের অফিস থেকে করা হবে। মোবাইল নম্বর লিঙ্কিং করা হবে ওটিপি ভেরিফিকেশনের মাধ্যমে।
গত জুন মাসের শেষে জানা যায়, রেশন কার্ডের সঙ্গে আধার লিঙ্ক করার প্রক্রিয়া শিগগিরই শুরু করে দিচ্ছে রাজ্য সরকার। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে এই প্রক্রিয়াও হচ্ছে ‘দুয়ারে’। অর্থাৎ কর্মীরা বাড়ি বাড়ি গিয়েই আধার কার্ডের সঙ্গে রেশন কার্ড লিঙ্ক করার কাজ করবেন। ১ জুলাই থেকে এই প্রক্রিয়া শুরু হয়।
এই লিঙ্ক প্রক্রিয়ার দুটি ধাপ আছে। প্রথম দফায় বাড়ি বাড়ি গিয়েই কাজ করা হচ্ছে। আর যদি কাউকে বাড়িতে না পাওয়া যায়, বা প্রথম দফায় কোনওভাবে কাজ সম্পন্ন করা না যায়, তবে দ্বিতীয় দফায় বাংলা সহায়তা কেন্দ্রে গিয়ে কাজটি করিয়ে আনতে হচ্ছে। তবেই মিলছে দুয়ারে রেশন।
কেন এই লিঙ্ক জরুরি? জানা গিয়েছে, বাজারে অনেক জাল ডিজিটাল রেশন কার্ড রয়েছে। গোটা প্রক্রিয়াকে স্বচ্ছ করতেই তাই এই আধার কার্ডের সঙ্গে লিঙ্ক প্রয়োজন। জাল রেশন কার্ড নির্মূল করার নির্দেশ দিয়েছিলেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী। আপাতত বাড়ি বাড়ি গিয়ে রেশন আধার লিঙ্কের কাজটি করবে একটি সংস্থা। ওই সংস্থাকে সর্বোতভাবে সাহায্যের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে জেলাশাসকদের।