ফের স্কচ গোল্ড অ্যাওয়ার্ড। এবার ক্ষুদ্র, মাঝারি ও কুটির শিল্পে। ‘বাংলাশ্রী’ প্রকল্পে রাজ্যের হস্তশিল্পীদের স্কুল ইউনিফর্ম তৈরির কর্মযজ্ঞে যুক্ত করে আর্থ-সামাজিক পরিবর্তন আনার জন্যই এই পুরস্কার। ইজ অফ ডুয়িং বিজনেস ক্যাটেগরিতে এই স্বীকৃতি পেয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। ক্ষুদ্র, মাঝারি ও কুটির শিল্পকে অসামান্য অবদানের জন্য স্কচ-এর ‘গোল্ড অ্যাওয়ার্ড’ দেওয়া হবে রাজ্যকে।
বুধবার নবান্ন সূত্রের খবর, রাজ্যের হস্তশিল্পীদের আর্থসামাজিক অবস্থায় বদল আনতে মঞ্জুশ্রীর তত্ত্বাবধানে স্কুল ইউনিফর্ম তৈরির জন্য ‘বাংলাশ্রী’ প্রকল্প গ্রহণ করে রাজ্য সরকার। এর ফলে হস্তশিল্পীদের হাল যেমন ফেরে, তেমনই হাল ফেরে মঞ্জুশ্রী-র। লোকসানে চলা একটি সংস্থা থেকে লাভজনক সংস্থায় পরিণত হয় এই সরকারি সংস্থা। যাকে বিশেষজ্ঞরা ‘মেটামরফোসিস’-এর সঙ্গে তুলনা করেছেন।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি শিক্ষা ও শিল্পক্ষেত্রেও অসামান্য অবদানের জন্য স্কচ পুরস্কার পেয়েছিল রাজ্য। মঞ্জুশ্রী আগেও পুরস্কৃত হয়েছে। রাজ্যের ঝুলিতে একাধিক স্কচ পুরস্কার রয়েছে। এবার সেই তালিকায় যুক্ত হল ক্ষুদ্র, মাঝারি ও কুটিরশিল্প দপ্তরের ‘বাংলাশ্রী’ প্রকল্প। উল্লেখ্য, এই স্কচ সংস্থাটি বিভিন্ন আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে উন্নয়নমূলক কাজের জন্য পুরস্কার দিয়ে থাকে।
তবে এই প্রথম নয়, এর আগে শিক্ষা থেকে শিল্প। স্কচ পুরস্কার (SKOCH award) জিতে নিয়েছে রাজ্যের একাধিক প্রকল্প। একাধিক শিল্পবান্ধব পদক্ষেপে রাজ্যে বিনিয়োগের অনুকূল পরিবেশ তৈরির জন্য ‘ইজ অফ ডুইং বিজনেস’ ক্যাটেগরিতে এসেছিল স্কচ পুরস্কার। তারও আগে পরিবহণ বিভাগে দক্ষিণবঙ্গ পরিবহণ নিগমের (SBSTC) ঝুলিতে এসেছে সোনা। গত বছর করোনা মোকাবিলায় কোমর বেঁধে লড়াই করেছিল বিধাননগর পুরনিগম। তাদের সেই ভূমিকাকে কুর্নিশ জানিয়েছিল ‘স্কচ’ সংগঠন। পুর পরিষেবা বিভাগে বিধাননগর পুরনিগম জেতে সোনা। এবার মুকুটে যোগ হল আরও একটি পালক।