বাংলায় আট দফায় ভোট (eight phases Election) ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন(Election Commission)৷ এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court)মামলা দায়ের করলেন এক আইনজীবী৷
মামলাকারী আইনজীবী এম এল শর্মা সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, আট দফায় নির্বাচন করার অর্থ ভারতীয় সংবিধানের ১৪ ও ২১ নম্বর ধারাকে লঙ্ঘন করা৷ তাই অবিলম্বে কমিশনের আট দফা ভোটের সিদ্ধান্ত খারিজ করার আর্জি জানিয়েছি৷
পাশাপাশি শুরু থেকেই রাজ্যে আট দফা ভোটের বিরোধীতা করে আসছে মমতা সরকার৷ প্রশ্ন তুলেছেন কাদের সুবিধা করে দিতে আট দফা ভোট৷
এদিকে ভোট গ্রহণের সময়সীমা বাড়ালো নির্বাচন কমিশন৷ সকাল ৭টা থেকে সন্ধ্যে সাড়ে ৬টা পর্যন্ত হবে ভোট গ্রহণ পর্ব। সন্ধ্যে ছটার পরিবর্তে সাড়ে ছটা পর্যন্ত হবে ভোট গ্রহণ পর্ব। রাজ্যে প্রথম দফার নির্বাচনের বিজ্ঞপ্তিও জারি করল নির্বাচন কমিশন।
রাজ্যে বিধানসভা ভোট শান্তিপূর্ণ করার দাবিতে এর আগে কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছিল। তাতে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ আশাবাদী আসন্ন বিধানসভা নির্বাচন অবাধ ও শান্তিপূর্ণ করতে যথোপযুক্ত তৎপরতা নেবে নির্বাচন কমিশন।
বঙ্গ ভোট এবার আট দফায়। বাংলা ছাড়াও কেরল, তামিলনাড়ু, আসাম ও পুদুচেরিতে বিধানসভা নির্বাচনের নির্ঘষ্ট প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন। তবে একমাত্র বাংলাতেই সবচেয়ে বেশি সময় ধরে চলবে নির্বাচনী প্রক্রিয়া। ২৩৪ আসনের তামিলনাড়ুতেও এক দফায় ভোটগ্রহণ হবে। তবে পশ্চিমবঙ্গে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচন হতে চলেছে আট দফায়। বাংলা সহ পাঁচ রাজ্যেই ভোট গণনা ২ মে। পশ্চিমবঙ্গে প্রথম দফার ভোট ভোট ২৭ মার্চ। এই দফায় ভোট হবে ৩০টি আসনে। দ্বিতীয় দফার ভোট ১ এপ্রিল। ৩০টি আসনে হবে ভোট গ্রহণ।
তৃতীয় দফায় ৬ এপ্রিল ৩১ টি আসনে ভোট হবে। চতুর্থ দফায় ১০ এপ্রিল ৪৪টি আসনে ভোটগ্রহণ হবে। পঞ্চম দফায় ৪৫টি আসনে ভোট হবে ১৭ এপ্রিল। ষষ্ঠ দফায় ভোট হবে ২২ এপ্রিল। সপ্তম দফায় ভোট গ্রহণ হবে ২৬ এপ্রিল ও অষ্টম তথা শেষ দফায় ভোট হবে ২৯ এপ্রিল। বিধানসভা ভোটের জন্য এরাজ্যের বিশেষ পর্যবেক্ষক করা হয়েছে অজয় নায়েককে।
মৃণালকান্তি দাস ও বিবেক দুবেকে বিশেষ পুলিশ অবজার্ভর করে বাংলায় পাঠাচ্ছে কমিশন। রাজ্যে ভোটে আয়-ব্যয়ের পর্যবেক্ষক করা হয়েছে বি মুরলিকুমারকে। এদিকে, দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলাতেও তিন দফায় নির্বাচন হবে বলে জানিয়েছে কমিশন। যা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এদিকে আসন্ন রাজ্য বিধানসভা নির্বাচন অবাধ ও শান্তিপূর্ণ করতে কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়েছিল। সেই মামলার প্রেক্ষিতেই এদিন প্রধান বিচারপতি জানান, অবাধ শান্তিপূর্ন নির্বাচন করতে কমিশন সব রকমের পদক্ষেপ গ্রহণ করবে বলে তাঁরা আশাবাদী। যাঁরা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন, তাঁদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে হবে কমিশনকে। প্রধান বিচারপতি। এদিন এমনই জানিয়েছে হাইকোর্ট। প্রধান বিচারপতি জানিয়েছেন, ভোটারদেরও নিরাপত্তা দিতে হবে। যাতে তাঁরা নির্ভয়ে গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করতে পারেন।