বিজেপি কর্মীর উপর আগনেয়াস্ত্র নিয়ে হামলার ঘটনায় সকাল থেকে উত্তেজনা ছড়াল, উত্তর ২৪ পরগনার শ্যামনগরে। জখম বিজেপি কর্মীর নাম সুজিত চক্রবর্তী। বন্দুকের বাঁট দিয়ে মেরে তাঁর মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এই ঘটনায় অভিযোগের তীর উঠেছে, তৃণমূল ছাত্র পরিষদ নেতা শুভ রঞ্জন সিং ও গারুলিয়া পুরসভার স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর অনন্যা সাহার স্বামী সমরেন্দ্র সাহার বিরুদ্ধে।
ঘটনায় জখম ঐ বিজেপি কর্মী জগদ্দল থানায় এদিন অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। শুধু তাই নয়, প্রাণ হানির আশঙ্কাও করছেন ওই বিজেপি কর্মী এবং তাঁর পরিবারের সদস্যরা।
জগদ্দল থানার পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করলেও, এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি।
জানা গিয়েছে, জখম বিজেপি কর্মী সুজিত চক্রবর্তী পেশায় ব্যবসায়ী। শ্যামনগর ফিডার রোডে তার একটি ওষুধের দোকান আছে। রবিবার একটু বেশি রাতেই তিনি তার দোকান বন্ধ করেন। এবং অন্য আরেকটি দোকানে দৈনন্দিন সামগ্রী কিনতে গিয়েছিলেন।
অভিযোগ, সেই সময় তার উপর আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে চড়াও হয় বেশ কয়েকজন তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। সুজিত চক্রবর্তী বলেন, “আমি যেহেতু অর্জুন সিংয়ের নেতৃত্বে বিজেপি দল করি, তাই আমার উপর হামলা করেছে ওরা। আমার অপরাধ, কেন আমি এই এলাকায় বিজেপি দল করছি। সক্রিয় ভাবে বিজেপি দল করি বলেই তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা আমার উপর হামলা করেছে।
তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতা শুভ রঞ্জন সিং এবং এই অঞ্চলের তৃণমূল কাউন্সিলর অনন্যা সাহার স্বামী সমরেন্দ্র সাহার নেতৃত্বে আমার উপর হামলা চালায় দুষ্কৃতীরা। ওরা বলছিল, বিজেপি করা ঘুঁচিয়ে দেব। ওরা বন্দুকের বাঁট দিয়ে মেরে আমার মাথা ফাটিয়ে দেয়। রক্তাক্ত অবস্থায় আমি কোনও রকমে জগদ্দল থানায় ফোন করি। এবং পুলিশ আসলে ওরা সবাই পালিয়ে যায়। আমি জগদ্দল থানায় অভিযুক্তদের নামে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি।”
এদিকে এই ঘটনার পরিপ্রক্ষিতে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতা শুভ রঞ্জন সিং বলেন, “আমার নামে মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে। এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূলের কেউ জড়িত নেই। ওদের গোষ্ঠী কোন্দলের জেরে এই ঘটনা ঘটেছে বলে মনে হয়। আমার নাম ইচ্ছা করে জড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। এটা আমার পাড়া। আমরা কেউ মারপিটের ঘটনায় জড়িত নই।”