নিজামুদ্দিনের পর পরোক্ষভাবে সংস্পর্শে আসা ৯ হাজার মানুষের করোনা সংক্রমণের আশঙ্কা

দিল্লির নিজামুদ্দিনের(Nizamuddin ) ধর্মসভার জেরে গোটা দেশ আজ আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে নিজামুদ্দিনের জামাতে অংশগ্রহনকারীদের পরোক্ষভাবে সংস্পর্শে আসায় করোনা(corona) ভাইরাসের আক্রান্ত হতে পারে ৯ হাজার মানুষ। তার মধ্যে ৭৬০৪ ভারতীয় ও ১৩০০ জন বিদেশি বলে অনুমান। ফলে এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ এই নয় হাজার মানুষকে চিহ্নিত করে কোয়ারেন্টিনে পাঠানো।

গত ১৩ থেকে ১৫ ই মার্চ ধর্মীয় সভা ছিল তাবলিঘি জামাতের। এই সভাতে যোগ দিয়েছিলেন মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, বাংলাদেশে, থাইল্যান্ড,মায়ানমার সহ একাধিক দেশের ধর্ম প্রচারক সহ অতিথিরা। এই জমায়েতে এসেই করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন অনেকে। সমাবেশের পর দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে পড়েন এখানকার করোনা আক্রান্তরা। এখানেই শেষ নয়। নিজামুদ্দিনের মারকাজে একসাথে ছিলেন ২৩৬১ জন। গত ৩৬ ঘন্টায় মারকাজ ভবন থেকে তাদের উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী।

ইতিমধ্যেই ঐ জমায়েতে থাকা ৪৪১ জনের মধ্যে করোনাভাইরাস এর প্রাথমিক লক্ষণ দেখা গেছে বলে জানিয়েছিলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। জামাতে যারা অংশগ্রহণ করেছিলেন সভা শেষে তারা দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে ছিটিয়ে চলে যান । তাদের সাথে বিদেশ থেকে আসা জামাতের সভায় যোগদান কারীরাও দেশের বিভিন্ন প্রান্তে গেছেন।

তেলেঙ্গানা, তামিলনাড়ু, পশ্চিমবঙ্গ, অন্ধ্রপ্রদেশ, আন্দামান-নিকোবর, উত্তর প্রদেশ, রাজস্থান, কাশ্মীর,ওড়িশাতে অনেকেই ফিরেছেন নিজামুদ্দিন থেকে। তাদের সাথে বিভিন্ন রাজ্যে গেছেন ধর্মগুরুরাও । তাদের মধ্যে এখনো পর্যন্ত ২৪ জনের দেহে করোনাভাইরাস এর হদিশ পাওয়া গেছে। ইতিমধ্যেই নিজামুদ্দিনে অংশ নেওয়া তেলেঙ্গানার ছয়জন শ্রীনগরে এক ধর্মগুরু মৃত্যু হয়েছে।

এই অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন আড়াই হাজারেরও বেশি মানুষ। তার মধ্যে কাশ্মীর থেকে ছিলেন ১০০জনের বেশি। প্রত্যেক রাজ্য সরকারি অত্যন্ত তৎপরতার সঙ্গে নিজামুদ্দিন ফেরতদের খুঁজে বের করার চেষ্টা চালাচ্ছেন। নবান্ন জানিয়েছে নিজামউদ্দিন (Nizamuddin)থেকে ফেরত দের ১৪ দিনের কোয়ারন্টাইন করার প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেছে।

তবে সবথেকে ভয়ঙ্কর, এই ধর্মীয় জমায়েতে শেষ হবার পর ৫ দিন ধরে বিভিন্ন ট্রেনে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের বাড়ি ফিরেছেন অংশগ্রহণকারীরা। সেইসব ট্রেনের যাত্রীরা অজান্তেই করোনা ভাইরাসে সংক্রমিতদের সংস্পর্শে এসেছেন। ফলে তাদের মধ্যেও সংক্রমণ ছড়ানোর ঝুঁকি থাকছে। ইতিমধ্যেই তাদের খোঁজ শুরু হয়েছে যারা বিশেষত এই নিজামুদ্দিন ফেরত করোনা আক্রান্তদের সঙ্গে যারা এক কামরায় যাত্রা করেছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.