দেশজুড়ে আছড়ে পড়েছে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ।এবার লাফিয়ে বাড়ল বাংলার কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা। রাজ্যে গত ২৪ ঘন্টায় আক্রান্ত হয়েছে ৮১২, যা আগের দিনের থেকে অনেকটাই বেশি। উদ্বেগ বাড়াচ্ছে রাজ্যের নিম্নমুখী সুস্থতার হার।
রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের দেওয়া শেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে রাজ্যের ৮১২ জনের শরীরে থাবা বসিয়েছে এই মারণ ভাইরাস। ফলে রাজ্যে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা হল ৫ লক্ষ ৮৩ হাজার ৮৩৯ জন।গত ২৪ ঘণ্টাতেই রাজ্যে যেমন সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৪৩৩ জন। এ নিয়ে মোট ৫ লক্ষ ৬৮ হাজার ৯০৯ জন করোনাজয়ী। সুস্থতার হারও গতকালের তুলনায় কম। বর্তমানে ৯৭.৪৪ শতাংশ মানুষ মারণ ভাইরাস থেকে মুক্ত। গত ২৪ ঘণ্টায় বাংলায় করোনার বলি দু’জন। কলকাতা মৃত্যুশূন্য হলেও প্রাণ হারিয়েছেন উত্তর ২৪ পরগনার দু’জন। এখনও পর্যন্ত রাজ্যে ১০ হাজার ৩২২ জনের মৃত্যু হয়েছে কোভিড-১৯-এ।
স্বাস্থ্য দফতরের ঘুম ওড়াচ্ছে সেই কলকাতা। একদিকে সেখানে আক্রান্ত হয়েছেন ২৯৪ জন। যে সংখ্যাটা গত মাসেও দৈনিক একশোর মধ্যেই ছিল। সংক্রমণের নিরিখে প্রত্যাশিতভাবেই দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা। একদিনে সেখানে ১৮০ জনের শরীরে মারণ ভাইরাসের খোঁজ মিলেছে। হাওড়ায় একদিনে আক্রান্ত ৬৫ জন। এদিকে, পর্যটকের সংখ্যা বাড়তে কোভিড আক্রান্ত বাড়ছে দার্জিলিংয়েও।
এদিকে ভোট চলাকালীন রাজ্যে সংক্রমণের পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে ধরে নিয়ে আগামী এক-দেড় মাসের জন্য সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়ার প্রশ্নে পরিকাঠামোগত সমস্ত ধরনের প্রস্তুতি নিয়ে রাখার নির্দেশ দিল কেন্দ্র। আজ ১২টি রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তার সঙ্গে বৈঠকে পরিকাঠামোগত প্রস্তুতি ও সংক্রমণ রুখতে পাঁচ দফা নীতি মেনে চলার উপরে জোর দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যকর্তারা।গোটা দেশে যে সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ এসেছে তা মূলত বারোটি রাজ্যেই দেখা গিয়েছে। এদের মধ্যে সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতি হল মহারাষ্ট্রের। ৪৬টি জেলার মধ্যে শুধু মহারাষ্ট্রেরই ২৫টি জেলা রয়েছে। আগামিকাল থেকে মহারাষ্ট্রের সর্বত্র রাত্রিকালীন কার্ফু জারি করা হয়েছে।