রাজ্যে ফের বিজেপিতে (Bharatiya Janata Party) যোগদানের হিড়িক। তবে এবার ব্যাপার টা একটু ভিন্ন। বিজেপিকে সবাই মুসলিম বিদ্বেষী দল বলেই পরিচয় দেয়। এমনকি বেশিরভাগ মুসলিমই আগাগোড়াই বিজেপির থেকে দূরত্ব বজায় রাখে। দেশের যেকোন প্রান্তে মুসলিম দের উপর অত্যাচার হলে, বিরোধীরা বরাবরই বিজেপির ঘাড়ে দোষ চাপিয়ে আসে। কিন্তু বিজেপিকে মুসলিম বিদ্বেষী তকমা দেওয়ার পরেও, এই দেশের মুসলিম অধ্যুষিত ৯০ টি জেলার মধ্যে ৫০ টির বেশি আসনে বিজেপি জয়লাভ করেছিল ২০১৯ এর লোকসভা নির্বাচনে। আর এই পরিসংখ্যান বিরোধীদের রাতের ঘুম কেড়েছে।
এরাজ্যেও মুসলিম অধ্যুষিত মালদা উত্তর লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূলের হেভিওয়েট প্রার্থী মৌসম বেনজির নূরকে হারিয়ে বিজেপির প্রার্থী খগেন মুর্মু জয়লাভ করেছিলেন। এছাড়াও বেশ কিছু মুসলিম এলাকাতেও বিজেপির ভোট বেড়েছিল চোখে দেখার মতো।
আর এবার আরেকটি আশ্চর্যকর ঘটনা ঘটে গেলো আজ। দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুর ব্লকের অশোকগ্রাম এলাকায় আজ ৮১৪ টি মুসলিম পরিবারের প্রায় ৪ হাজার সদস্য যোগদান করেন বিজেপিতে। আশোকগ্রাম স্কুল মাঠে আজ বিজেপির বিজয় উৎসব ছিল। সেই বিজয় উৎসবে সিপিএম নেতা গোলাম মোর্তাজ়া এবং তৃণমূল নেতা আসিফ ইকবালের নেতৃত্বে প্রচুর সংখ্যক মুসলিম পরিবার বিজেপিতে যোগ দেন। বিজেপির জেলা সভাপতি শুভেন্দু সরকার তাঁদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন। এই বিজয় উৎসবে উপস্থিত ছিলেন বালুরঘাট থেকে বিজেপির সাংসদ সুকান্ত মজুমদার।
জেলা সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘বালুরঘাটে আমরা জয়ী হয়েছি। গোটা দেশে আমাদের বিজয় ধ্বজ উড়েছে। সিপিএম ও তৃণমূল এতদিন ধরে মুসলিমদের ভুল বুঝিয়ে ভোট নিচ্ছিল। কিন্তু মোদীজি সবকা সাথ, সবকা বিকাশ মন্ত্রে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। আর মোদীজির আদর্শে অনুপ্রেরিত হয়ে সংখ্যালঘুরা আজ বিজেপিতে যোগ দেন। ওদের তৃণমূল সিপিএম আর ভুল বোঝাতে পারবেনা।”