পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা ভোটে (West Bengal Assembly Election) নিরাপত্তায় আসতে পারে প্রায় ৮০০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী (Central Forces)। দিল্লির নির্বাচন কমিশন (Election Commission) সূত্রে এমনটাই জানা গিয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচনগুলোতে রাজনৈতিক হিংসার ঘটনার কথা মাথায় রেখেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে। পশ্চিমবঙ্গের দায়িত্বে থাকা কমিশনের এক আধিকারিকের মতে, নির্বাচন কমিশন পশ্চিমবঙ্গে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য এ বছর আগে থেকেই পদক্ষেপ নেওয়া শুরু করেছে। এই বিপুল পরিমাণ বাহিনী এনে সাধারণ মানুষের ভোটদানের বিষয়টিও নিশ্চিত করাও কমিশনের কাছে অন্যতম কাজ বলেই মনে করা হচ্ছে।
নির্বাচন কমিশনের কর্তারা ইতিমধ্যে রাজ্যের রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে একদফায় আলোচনা করেছে। তাতে বিরোধী রাজনৈতিক দল বিজেপি, কংগ্রেস ও বামফ্রন্ট শাসকদলের হিংসার দিকে আঙুল তুলেছে। পাশাপাশি, কমিশনকে তাঁরা তৃণমূলের রাজনৈতিক সন্ত্রাস করে ভোটলুঠের কথা জানিয়েছেন। বিরোধীদের এমন অভিযোগের পর স্বাভাবিকভাবেই কমিশনের ওপর চাপ বেড়েছে। কারণ বিরোধিরা ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত ভোটে রাজ্যের ৩৪ শতাংশ আসনে শাসকদলের সন্ত্রাসের কারণে প্রার্থী না দিতে পারার তথ্য তুলে ধরেছে। এমন তথ্য হাতে পেয়েই ৮০০ কোম্পানি নিরাপত্তা বাহিনী আনার বিষয়ে আলোচনা শুরু করেছে।
শাসকদলের সন্ত্রাস ছাড়াও রয়েছে কোভিড-১৯ পরিস্থিতি। করোনা পর্বে ভোট হওয়ায় বিহারে বুথের সংখ্যা বাড়িয়েছিল কমিশন। পশ্চিমবঙ্গেও সেই সম্ভাবনা রয়েছে। সেই কারণে গত লোকসভার তুলনায় বেশি বাহিনীর প্রয়োজন রয়েছে বলে মনে করছে কমিশন। কিন্তু বাহিনীর বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের ছাড়পত্র অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেওয়াই রেওয়াজ। কারণ, ভোট পর্বের সময়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক কত বাহিনী দিতে পারবে, তার উপরেও নির্ভর করে। পশ্চিমবঙ্গের পাশাপাশি একই সময়ে ভোট অসম, তামিলনাড়ু, কেরল, পুদুচেরিতেও। তাই নিরাপত্তা বাহিনী নিশ্চিত করতে আগে কমিশনকে প্রস্তাব পাঠাতে হবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে।