এর আগে তৃণমূলের সাংসদ শান্তনু সেন সাসপেন্ড হয়েছে। এবার আরও ছয়জন তৃণমূল সাংসদকে সাসপেন্ড করা হলো রাজ্যসভা থেকে। রাজ্যসভার ডেপুটি চেয়ারম্যান তৃণমূল সাংসদ নাদিমুল হক, আবির বিশ্বাস, শান্তা ছেত্রী, অর্পিতা ঘোষ, মৌসম বেনজির নূরকে আজ সাসপেন্ড করেন। তবে, শান্তনু সেনকে পুরো বাদল অধিবেশনের জন্য সাসপেন্ড করা হয়েছে। কিন্তু এই ৬ সাংসদকে শুধুমাত্র আজকের জন্য সাসপেন্ড করা হয়েছে।
বিধিভঙ্গের অভিযোগে তৃণমূলের ৬ সাংসদকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে সংসদে অশোভন আচরণ করার অভিযোগ করা হয়েছে। আজকের অধিবেশনে সংসদের উভয় কক্ষই উত্তাল ছিল। রাজ্যসভায় ওয়েলে নামে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন বিরোধী দলের সাংসদরা। রাজ্যসভার চেয়ারম্যান ভেঙ্কাইয়া নাইডু সকলকে নিজের আসনে গিয়ে বসার অনুরোধ করেন। কিন্তু তাতে কেউ রাজি হননি। শেষপর্যন্ত ভেঙ্কাইয়া নাইডু তাদের বিরুদ্ধে ২৫৫ ধারার আইন কার্যকর করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন। এরপরেও পরিস্থিতির বদল না হওয়ায় তৃণমূলের ৬ সংসদকে সাসপেন্ড করা হয়।
তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেনের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল গুরুতর। পেগাসাস নিয়ে কেন্দ্রীয় তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব যখন বক্তৃতা দিতে শুরু করতে যাবেন তখন নিজের আসন ছেড়ে ওয়েলে নেমে মন্ত্রীর কাগজ কেড়ে ছিঁড়ে স্পিকারের আসনের দিকে ছুঁড়ে দেন শান্তনু। কেন্দ্রীয় সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশী বলেন যে কান্ড তৃণমূল সাংসদ ঘটিয়েছেন সেটা ভারতের সংসদীয় গণতন্ত্রে গৌরবময় ইতিহাসে কলঙ্কজনক ঘটনা।
আজকের এই ঘটনার প্রতিবাদে টুইটারে সরব হয়েছেন তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ওব্রায়েন। দুপুর থেকে সংসদ ভবন চত্বরে প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করছেন বিরোধী দলের সাংসদরা।