রাজ্যে শাসক দল তৃণমূলের সমস্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। আজ বিধাননগরের মেয়র ইন কাউন্সিল দেবাশিস জানার সঙ্গে আসানসোলের তিনজন কাউন্সিলর দল ছাড়লেন। বুধবার এঁরা সবাই বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের হাত ধরে গেরুয়া শিবিরে যোগদান করেন। গতকালই আসানসোলের প্রাক্তন মেয়র তথা পাণ্ডবেশ্বরের তৃণমূল বিধায়ক জিতেন্দ্র তিওয়ারি দল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন।
রাজ্যের শাসক দলের অনেক নেতাই বিজেপির দিকে পা বাড়াচ্ছেন। কিছুদিন আগে বিজেপি ঘোষণা করেছিল যে, এবার তাঁরা বড় মাপের তৃণমূল নেতাদের আর দলে নেবে না। কৈলাস বিজয়বর্গীয় বলেছিলেন, আমরা কোনোভাবেই বিজেপিকে তৃণমূলের বি-টিম হতে দেব না। যদিও, বিজেপি এটাও জানিয়েছিল যে রাজ্য নেতাদের সঙ্গে চর্চার পর কিছু তৃণমূল নেতাকে দলে নিতে পারে। তবে যেই নেতাদের নেবে, তাঁদের চরিত্রে যেন কোনও দাগ না থাকে।
গতকাল বিজেপিতে যোগদানকারী তৃণমূলের বিধায়ক জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে অনেকদিন ধরেই জল্পনা চলছিল। এর আগে শুভেন্দু অধিকারী সঙ্গে একসাথে ওনার বিজেপিতে যোগ দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু মাঝে রুখে দাঁড়ান বিজেপির সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়। তিনি সরাসরি জিতেন্দ্রবাবুর বিজেপিতে যোগ দেওয়ার বিরোধিতা করেছিলেন। অগত্যা জিতেন্দ্রবাবুকে আবার সেই পুরনো দলেই ফিরে যেতে হয়েছিল।
কিন্তু এবার সবার সঙ্গে আলোচনা করে জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে দলে নেন দিলীপ ঘোষ। এই প্রসঙ্গে বাবুল সুপ্রিয় জানিয়েছিলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আদর্শকে মেনে নিয়ে আমরা একসঙ্গে তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়তে প্রস্তুত।” কার্যত বাবুল সুপ্রিয়র সবুজ সঙ্কেতের পরই জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে বিজেপিতে নেওয়া হয়।