ভোটের ২৪ ঘণ্টা আগে শিক্ষক নিয়োগের মামলায় স্বস্তি রাজ্যের

মেধাতালিকায় নাম দেখা সত্বেও নিয়োগপত্র না পাওয়ায় এসএসসি চাকরি প্রার্থীদের বিক্ষোভে উত্তাল হয়েছে কলকাতার রাজপথ। মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির সামনে থেকে শিক্ষামন্ত্রীর বাড়ির সামনে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন তারা। প্রথম দফা ভোটের ঠিক ২৪ ঘন্টা আগে মিলল শাপমুক্তি। কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের রায়কেই মান্যতা দিল সুপ্রিম কোর্ট। ওই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন চাকরি প্রার্থীরা। আর সেই আর্জি খারিজ করে দিল সুপ্রিম কোর্ট।

২০১৪-তে টেট পরীক্ষার ভিত্তিতে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু করে রাজ্য সরকার। ১৫২৮৪ পদে নিয়োগ হয়। বাকি পদগুলিতে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরুর আগেই অস্বচ্ছতার অভিযোগ তুলে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন চাকরি প্রার্থীরা। তাঁদের দাবি ছিল, মেধা তালিকা স্বচ্ছ নয়, অনেক ভুল রয়েছে। তাই নিয়োগ বন্ধ করা হোক। হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চে হয় সেই মামলা। মোট ১৬৫০০ শূন্যপদে নিয়োগের ওপর স্থগিতাদেশ দেন বিচারপতি। জানিয়ে দেন, কোনও নিয়োগ করা যাবে না। অর্থাৎ প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ বন্ধ হয়ে যায়।

এরপর সিঙ্গল বেঞ্চের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ডিভিশন বেঞ্চে মামলা করে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। সেখানেই স্বস্তি মিলেছিল রাজ্য সরকারের। গত ৪ মার্চ কলকাতা হাইকোর্ট নিয়োগের পক্ষে রায় দিয়েছিল। ডিভিশন বেঞ্চের রায়ে শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে আর কোনও বাধা ছিল না। নিয়োগে কোনও অসঙ্গতি নেই বলেই জানানো হয়েছিল। ডিভিশন বেঞ্চ ১৬৫০০ শূন্যপদে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে সায় দিয়েছিল। কিন্তু এরপরই ডিভিশন বেঞ্চের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে যান চাকরি প্রার্থীরা।

এ বার সুপ্রিম কোর্টে খারিজ হয়ে গেল চাকরি প্রার্থীদের আর্জি। অর্থাৎ ডিভিশন বেঞ্চের রায়কেই মান্যতা দিল সুপ্রিম কোর্ট। এর ফলে ওই নিয়োগে আর কোনও বাধা রইল না। কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ বহাল রাখল সুপ্রিম কোর্ট।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.