রাজ্যে ফের বিজেপিতে যোগদানের হিড়িক। তবে এবার ব্যাপার টা একটু ভিন্ন। বিজেপিকে সবাই মুসলিম বিদ্বেষী দল বলেই পরিচয় দেয়। এমনকি বেশিরভাগ মুসলিমই আগাগোড়াই বিজেপির থেকে দূরত্ব বজায় রাখে। দেশের যেকোন প্রান্তে মুসলিম দের উপর অত্যাচার হলে, বিরোধীরা বরাবরই বিজেপির ঘাড়ে দোষ চাপিয়ে আসে। কিন্তু বিজেপিকে মুসলিম বিদ্বেষী তকমা দেওয়ার পরেও, এই দেশের মুসলিম অধ্যুষিত ৯০ টি জেলার মধ্যে ৫০ টির বেশি আসনে বিজেপি জয়লাভ করেছিল ২০১৯ এর লোকসভা নির্বাচনে। আর এই পরিসংখ্যান বিরোধীদের রাতের ঘুম কেড়েছে।
এরাজ্যেও মুসলিম অধ্যুষিত মালদা উত্তর লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূলের হেভিওয়েট প্রার্থী মৌসম বেনজির নূরকে হারিয়ে বিজেপির প্রার্থী খগেন মুর্মু জয়লাভ করেছিলেন। এছাড়াও বেশ কিছু মুসলিম এলাকাতেও বিজেপির ভোট বেড়েছিল চোখে দেখার মতো।
এবারের লোকসভা নির্বাচনে এরাজ্যে বিজেপি ১৮ টি আসন দখল করে। ২০১৪ এর তুলনায় এরাজ্যে ১৬ টি আসন বেশি পেয়েছে বিজেপি। তৃণমূল কংগ্রেস এবার এরাজ্যে ২২ টি আসন দখল করেছে। ২০১৪ এর নির্বাচনের নিরিখে এরাজ্যে ১২ টি আসন কম পেয়েছে তাঁরা। নির্বাচন শেষ হতেই এরাজ্যে তৃণমূল প্রতিনিয়ত ভাঙতে শুরু করে। রোজই দলের কোন না কোন নেতা তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন।
মঙ্গলবার পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়া বিধানসভার অগ্ৰদ্বীপ গ্ৰামপঞ্চায়েতের সাহেবনগর গ্ৰামের ২০০ সংখ্যালঘু পরিবার বিজেপিতে যোগদান করলেন। তাদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দিলেন পূর্ব বর্ধমান জেলার সাংগঠনিক সভাপতি কৃষ্ণ ঘোষ। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন যুব মোর্চার জেলা সভাপতি শুভদীপ মাপদার,৪৩নং মন্ডলের সভাপতি ইন্দ্রজীৎ ঘোষ, শক্তিকেন্দ্র প্রমুখ প্রভাত দে সহ প্রমুখ।