বাংলার আসন্ন বিধানসভা নির্বাচন অবাধ ও শান্তিপূর্ণ করার লক্ষ্যে আরও একধাপ। রাজ্যের স্পর্শকাতর ও অতি স্পর্শকাতর বুথগুলিতে ১০০ শতাংশ কেন্দ্রীয় বাহিনী ব্যবহার করতে হবে বলে নির্দেশ নির্বাচনী পর্যবেক্ষকদের। বৃহস্পতিবার নবান্নে এবিষয়ে মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে স্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন পর্যবেক্ষকরা। রাজ্য প্রশাসনের তরফেও কনিশনের সঙ্গে সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার নবান্নে গিয়ে মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠক করেন বিশেষ পুলিশ পর্যবেক্ষক অনিল কুমার শর্মা। বাংলার নির্বাচনে সব জায়গাতেই কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের উপর জোর দিয়েছেন বিশেষ পুলিশ পর্যবেক্ষক অনিল শর্মা। এদিন ঘণ্টাখানেকেরও বেশি সময় ধরে মুখ্যসচিবের সঙ্গে বৈঠক করেন বিশেষ পুলিশ পর্যবেক্ষক। সেই বৈঠকে ছিলেন রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিব ও ডিজি। মূলক আসন্ন বিধানসভা নির্বাচন অবাধ ও শান্তিপূর্ণ করতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের যথাযথ ব্যবহার নিয়েই এদিনের বৈঠকে আলোচনা করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। নির্বাচনী পর্ষবেক্ষক রাজ্য পুলিশের চেয়ে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদেরই ভোটের কাজে বেশি করে কাজে লাগানোর নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্য প্রশাসনের কর্তাদের।
নির্বাচন কমিশন নিযুক্ত বিশেষ পুলিশ পর্যবেক্ষক এদিন স্পষ্ট করে জানিয়েছেন, রাজ্যের স্পর্শকাতর ও অতি স্পর্শকাতর বুথ যথাযথভাবে চিহ্নিত করতে হবে। সেই বুথগুলিতে ১০০ শতাংশ কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন রাখতে হবে। কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের মোতায়েন রেখেই ওই বুথগুলিতে ভোট হবে। স্পর্শকাতর ও অতি স্পর্শকাতর বুথ চত্বরে রাজ্য পুলিশকে টহলদারি চালাতে হবে বলেও নির্দেশ দিয়েছেন কমিশনের পর্যবেক্ষকরা। অবাধ ও শান্তিপূর্ণ বোট পরিচালনা করতে নির্বাচন কমিশনকে সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন মুখ্যসচিব থেকে শুরু করে রাজ্য প্রশাসনের শীর্ষ কর্তারা।
আসন্ন বিধানসভা নির্বাচন এবার আট দফায়। একমাত্র বাংলাতেই সবচেয়ে বেশি সময় ধরে চলবে নির্বাচনী প্রক্রিয়া। ২৩৪ আসনের তামিলনাড়ুতেও এক দফায় ভোটগ্রহণ হবে। তবে পশ্চিমবঙ্গে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচন হতে চলেছে আট দফায়। বাংলা সহ পাঁচ রাজ্যেই ভোট গণনা ২ মে। পশ্চিমবঙ্গে প্রথম দফার ভোট ভোট ২৭ মার্চ। এই দফায় ভোট হবে ৩০টি আসনে। দ্বিতীয় দফার ভোট ১ এপ্রিল। ৩০টি আসনে হবে ভোট গ্রহণ। তৃতীয় দফায় ৬ এপ্রিল ৩১ টি আসনে ভোট হবে। চতুর্থ দফায় ১০ এপ্রিল ৪৪টি আসনে ভোটগ্রহণ হবে। পঞ্চম দফায় ৪৫টি আসনে ভোট হবে ১৭ এপ্রিল। ষষ্ঠ দফায় ভোট হবে ২২ এপ্রিল। সপ্তম দফায় ভোট গ্রহণ হবে ২৬ এপ্রিল ও অষ্টম তথা শেষ দফায় ভোট হবে ২৯ এপ্রিল।