কালিয়াচকে তৃণমুল নেতার বাড়ি থেকে রেশনের ১০ টন চাল এবং আটা উদ্ধার, গ্রেফতার যুব নেতার দাদা

যুব তৃণমুল নেতার বাড়ি থেকে উদ্ধার প্রচুর চাল এবং আটা। ঘটনাটি ঘটেছে মালদার কালিয়াচক ১ নম্বর ব্লকে। ওই যুব নেতার বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে ১০টন চাল ও আটা। ঘটনার পর থেকে পলাতক যুবনেতা। পুলিশ একজনকে গ্রেফতার করেছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। বিজেপির এই বিষয় আগেই অভিযোগ তুলেছিল।

জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত ব্যক্তি কালিয়াচক ১ নম্বর ব্লকের যুব তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক সুশান্ত চৌধুরী। সুশান্ত চৌধুরীর বাড়ি কালিয়াচক থানার সুলতানগঞ্জ গ্রামে।বাড়িতে অবৈধভাবে রেশনের চাল, আটা মজুদ করেছিল। বিভিন্ন ডিলারের কাছ থেকে সংগ্রহ করে ভিন রাজ্যে পাচার করত সুশান্ত ও তার দাদা বিকাশ চৌধুরী। সূত্র থেকে জানা গিয়েছে কয়েক গাড়ি খাদ্য সামগ্রী পাচার করা হয়েছে তাদের বাড়ি থেকে। তৃণমূল দলের প্রভাব খাটিয়ে দীর্ঘদিন থেকেই এই কাজ করতো তারা। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে কালিয়াচক থানার পুলিশ ও জেলা ফুড ইন্সপেক্টর অভিযান চালায়। সুশান্ত চৌধুরীর বাড়িতে হানা দিয়ে প্রায় ১০টনের মতো আটা ও চাল উদ্ধার করা হয়। সেইসঙ্গে সুশান্ত চৌধুরীর দাদা বিকাশ চৌধুরীকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ অভিযানের আগেই বাড়ি থেকে পালিয়ে যায় তৃণমূল নেতা সুশান্ত চৌধুরী।

কালিয়াচক থানার আইসি মদন মোহন রায় জানিয়েছেন, পুলিশ অভিযন চালিয়ে বাড়ি থেকে বেশ কয়েক টন রেশনের খাদ্য সামগ্রী উদ্ধার করেছে। তার দাদা বিকাশ চৌধুরীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। রেশনের খাদ্য সামগ্রী পাচার কাজের সঙ্গে আরও যারা যুক্ত আছে তাদের খোঁজে তল্লাশি চলছে। মঙ্গলবার বৈষ্ণবনগর থানার পুলিশ একটি লরি ভর্তির করে চাল, আটা উদ্ধার করে নিয়ে আসে।

এই ঘটনায় হুলুস্থুল পড়ে যায় গোটা বৈষ্ণবনগর তথা জেলা জুড়ে। তারপরেই নড়েচড়ে বসে জেলা খাদ্য দপ্তর। তৃণমূল নেতৃত্বদের দাবি, ফুড ইন্সপেক্টর আটা ভাঙ্গা মেশিনের ঘর থেকে কিছু আটা ও চাল যাচাই করার জন্য নিয়ে গেছে।কিন্তু বিষয়টি নিয়ে বিরোধিরা রাজনীতি করতে শুরু করেছে।

জেলা বিজেপি সভাপতি গোবিন্দ চন্দ্র মন্ডল বলেন, রেশনের খাদ্য সামগ্রী সাধারণ মানুষের জন্য মূলত কেন্দ্রীয় সরকারি বরাদ্দ করে থাকে। কিন্তু তৃণমূল নেতারা ডিলারদের কাছ থেকে হাতিয়ে নিয়ে পক্ষান্তরে সাধারণ মানুষের পেটে লাথি মারছে। ফলে প্রকৃত রেশন প্রাপকরা পায় না। এর পিছনে যে শাসক দলের মদত রয়েছে তা এর আগেই আমরা বলেছি। এবার তা প্রমানিত।

কালিয়াচক ১ নম্বর ব্লকের যুব তৃণমূলের সভাপতি সারিউল শেখ বলেন, সুশান্ত চৌধুরি ব্লক যুব তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক। তাদের বাড়িতে একটি গম ভাঙ্গা মেশিন রয়েছে। ফুড ইন্সপেক্টর সেখান থেকে কিছু খাদ্য সামগ্রী যাচাই করার জন্য নিয়ে গেছে এবং সেইসঙ্গে সুশান্তর দাদা বিকাশ চৌধুরীকেও নিয়ে গিয়েছে। এখানে রেশনের খাদ্য সামগ্রী মজুদ করে রাখার কোনো ব্যাপার নেই। অযথাই বিজেপি ভুল তথ্য নিয়ে রাজনীতি করতে চাইছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.