লোকসভা নির্বাচন ২০১৯ এর হারের পর পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীর দুর্গ ধস নেমেছে। একদা তৃণমূলের নম্বর টু মুকুল রায় তৃণমূলকে গোঁড়া থেকে উপরে ফেলতে বদ্ধপরিকর হয়েছেন। মুকুল রায় জানিয়েছেন, লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যের তৃণমূলের ভরাডুবির পর তাঁদের অনেক বিধায়ক ভারতীয় জনতা পার্টির সাথে যোগাযোগ স্থাপন করছেন। এরা মঙ্গলবার তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিতে চলেছেন।
তৃণমূলের এই বিক্ষুব্ধ বিধায়কদের মধ্যে মুকুল রায়ের ছেলে শুভ্রাংশু রায়ও আছেন। আজ শুধু শুভ্রাংশুই না, তৃণমূলের ১০ জন বিধায়ক এবং ১২ জন কাউন্সিলরও আজ বিজেপিতে নাম লেখাচ্ছেন। ২০১৮ সালে তৃণমূলের কাছে অসন্মানিত হয়ে মুকুল রায় বিজেপির ছত্রছায়ায় আসেন। আর তখন থেকেই তিনি তৃণমূলের শিকড় উপরে ফেলার কাজে লেগে আছেন।
লোকসভা নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গের ৪২ টি আসনের মধ্যে ১৮ টি আসন দখল করেছে বিজেপি। গত ২০১৪ এর নির্বাচনে এরাজ্যে মাত্র দুটি লোকসভা আসনেই জয়ের ধ্বজা ওড়াতে সক্ষম হয়েছিল বিজেপি। ২০২১ এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে কলকাতার পুরভোটে নজর লাগিয়ে বসে আছে বিজেপি। এরাজ্যে বিজেপির প্রধান লক্ষ্য হল রাজ্য থেকে তৃণমূল এবং মমতা ব্যানার্জীকে উৎখাত করে বিজেপির গেরুয়া ঝাণ্ডা উত্তলন করা।
এর আগেও মুকুল রায়ের হাত ধরে তৃণমূল থেকে সাংসদ অনুপম হাজরা, সৌমিত্র খাঁ যোগ দিয়েছিলেন বিজেপিতে। লোকসভায় বিজেপির টিকিটে নিজের এলাকা বিষ্ণুপুর থেকে লড়াই করা তৃণমূলকে হারিয়েছেন সৌমিত্র খাঁ। এছাড়াও মুকুল রায়ের হাত ধরে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন ভাটপাড়ার বাহুবলি বিধায়ক অর্জুন সিং, দুলাল বর এর মোট বড়বড় নেতারা। ২০১৯ এর লোকসভা নির্বাচনে অভূতপূর্ব জয়ের পর বিজেপি এই রাজ্যে শক্তি বৃদ্ধি করতে মরিয়া। আর এর জন্য তৃণমূলকে অন্দর থেকে ভেঙে দেওয়ার কাজ শুরু করেছে বিজেপি নেতৃত্ব।