কোভিশিল্ড ভ্যাকসিনে প্রতি ৪ জনের মধ্যে ১ জনের শরীরে মৃদু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হচ্ছে: ল্যানসেট গবেষণা

অ্যাস্ট্রাজেনেকা তথা সেরাম ইনস্টিটিউটের কোভিশিল্ড ভ্যাকসিন নেওয়ার পর প্রতি ৪ জনের মধ্যে ১ জনের শরীরে মৃদু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হচ্ছে। লন্ডলের কিংস কলেজের গবেষকরা এ ব্যাপারে গবেষণা করেছেন। তার পর সেই গবেষণালব্ধ রিপোর্ট ল্যানসেটে প্রকাশিত হয়েছে।

ল্যানসেট হল সব থেকে পুরনো এবং সুপরিচিত মেডিকেল জার্নাল।

গবেষকরা দেখেছেন, কোভিশিল্ডের টিকা নেওয়ার ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে। কারও মাথা ধরছে, কারও জ্বর জ্বর লাগছে, কেউ শরীরে অসম্ভব ক্লান্তি অনুভব করছেন, গা ম্যাজ ম্যাজ করছে বা পেশী ও গাঁটে ব্যাথা করছে। তা ছাড়া কারও কারও লোকাল সাইড এফেক্টও হচ্ছে। অর্থাৎ হাতের যেখানে টিকা নিয়েছেন সেখানে ফুলে যাচ্ছে, ব্যাথা হচ্ছে, টনটন করছে ইত্যাদি।

এও দেখা গিয়েছে, যে মহিলাদের বয়স ৫৫ বছরের বেশি তাঁদের শরীরে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি। আবার যাঁদের ইতিমধ্যে কোভিড হয়ে গিয়েছে, কোভিশিল্ডের ভ্যাকসিন নেওয়ার পর তাদেরও পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার সম্ভাবনা বেশি।

কিংস কলেজের অধ্যাপক তথা এই গবেষণার নেতৃত্বে থাকা টিম স্পেকটর জানিয়েছেন, এই ধরনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কম সময়ের জন্যই থাকছে। তাঁর মতে, এই পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার জন্য বিচলিত হওয়ার কারণ নেই। বরং মনে রাখতে হবে, ৫০ বছরের বেশি বয়সিদের কোভিডের আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বেশি।

শুধু কোভিশিল্ড নয়, ফাইজারের ভ্যাকসিনের ক্ষেত্রেও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা গিয়েছে। তবে একই সঙ্গে আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় গবেষণায় উঠে এসেছে। তা হল ফাইজার বা কোভিশিল্ডের টিকাকরণ শুরু হওয়ার পর দেখা যাচ্ছে, সংক্রমণ ছড়ানোর গতি কমছে। ফাইজারের প্রথম ডোজ দেওয়ার ২১ দিন পর থেকে সংক্রমণ ছড়ানোর হার ৬৯ শতাংশ কমছে। একই ভাবে কোভিশিল্ডের প্রথম ডোজ দেওয়ার ২১ দিনের পর থেকে সংক্রমণ ছড়ানোর হার ৬০ শতাংশ কমছে। অর্থাৎ টিকাকরণ প্রক্রিয়া যত দ্রুত হবে তত দ্রুত সংক্রমণে লাগাম পরানো যাবে বলে মনে করছেন গবেষকরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.