আগামী ১৬ জানুয়ারি শনিবার কলকাতাসহ রাজ্যের ২০৪টি কেন্দ্র থেকে দেওয়া হবে করোনা ভ্যাকসিন৷ এর মধ্যে কলকাতার ১৪টি কেন্দ্র থেকে মিলবে এই ভ্যাকসিন৷
একনজরে কলকাতার ১৪ টি কেন্দ্রের তালিকা
(১) মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল (২) আরজিকর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল (৩) এসএসকেএম হাসপাতাল (৪) এনআরএস মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল (৫) ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল (৬) চিত্তরঞ্জন সেবাসদন (৭) স্কুল অফ ট্রপিকাল মেডিসিন (৮) ডাঃ বিসিরায় পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ইনস্টিটিউট অফ পেডিয়াট্রিক সায়েন্স (৯) বেলেঘাটা আইডি ও বিজি হাসপাতাল (১০) ইউ পিএসসি ১১ (১১) ইউ পিএসসি ৩১ (১২) ইউ পিএসসি ৫৭ (১৩) ইউ পিএসসি ৮২ (১৪) ইউ পিএসসি ১১১।
স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, প্রথম পর্যায়ে রাজ্যে ৬ লক্ষ ৪৪ হাজার ৫০০ জনের টিকাকরণ হবে৷ কলকাতার জন্য সবথেকে বেশি ভ্যাকসিন বরাদ্দ করা হয়েছে৷ শহরে টিকাকরণ হবে ৯৩ হাজার ৫০০ স্বাস্থ্যকর্মীর৷ দুই নম্বরে রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা৷
১২ জানুয়ারি মঙ্গলবার বাংলায় এসেছে পুণের সিরাম ইনস্টিটিউট এর করোনা ভ্যাকসিন কোভিশিল্ড৷ প্রথম পর্যায়ে ৫৮টি বাক্সে ১০ লক্ষ ভ্যাকসিন এসেছে বাংলায়৷এর মধ্যে কলকাতায় এসেছে ৭ লক্ষ ডোজ৷ ৩ লক্ষ পাঠানো হয়েছে পূর্ব এবং উত্তর-পূর্ব ভারতে৷ ওইদিন রাত থেকেই কলকাতা থেকে জেলায় জেলায় পাঠানো হচ্ছে ভ্যাকসিন৷
রাজ্যের স্বাস্থ্যশিক্ষা অধিকর্তা অজয় চক্রবর্তী জানিয়েছেন, কোভিড-১৯ হাসপাতালে যে সব স্বাস্থ্যকর্মী কাজ করছেন, তাঁরাই প্রথমে টিকা পাবেন। সেই সংখ্যাটা প্রায় ৬ লক্ষ।
মঙ্গলবার দুপুরে কলকাতা বিমানবন্দরে এসে পৌঁছায় করোনা ভ্যাকসিন৷ পুণে থেকে স্পাইস জেটের কার্গো বিমানে ভ্যাকসিন নিয়ে আসা হয় কলকাতায়৷ তারপর দুটি ইনস্যুলেটেড ভ্যানে (বিশেষ গাড়ি)করে কলকাতা বাগবাজারের সেন্ট্রাল ফ্যামিলি ওয়েলফেয়ার স্টোরে এনে মজুত করা হয় ভ্যাকসিন৷ পাইলট কারের পাহারায় ভ্যাকসিন এর ভ্যান দুটিকে বাগবাজার নিয়ে আসা হয়৷ এমনকি বাগবাজারের সেন্ট্রাল ফ্যামিলি ওয়েলফেয়ার স্টোরটিকেও ঘিরে রেখেছিল বিশাল পুলিশ বাহিনী৷