পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীকে মাঝে মধ্যেই অভিযোগ করতে শোনা গিয়েছে, কেন্দ্র সময় মতো টিকা দিচ্ছে না। তবে কেন্দ্রের পরিসংখ্যান বলছে, হিসেবটা পুরো আলাদা। সারা দেশের মধ্যে কেন্দ্রের কাছ থেকে প্রাপ্ত টিকার নিরিখে তৃতীয় স্থানে রয়েছে বাংলা। রাজ্যসভায় তৃণমূল সাংসদ সুস্মিতা দেবের প্রশ্নের প্রেক্ষিতে তথ্য প্রকাশ করে আজ এ কথা জানাল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক।
২০২১ সালের ২৬ নভেম্বর পর্যন্ত রাজ্যগুলিকে পাঠানো করোনা টিকার পরিসংখ্যান তুলে ধরে কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়, পশ্চিমবঙ্গে এখনও পর্যন্ত করোনা টিকার ৯ কোটি ৮১ লাখ ৫ হাজার ১৩০ টি ডোজ় পাঠানো হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের আগে রয়েছে কেবল উত্তর প্রদেশ এবং মহারাষ্ট্র। উত্তর প্রদেশে এখনও পর্যন্ত (২৬ নভেম্বর) ১৮ কোটি ১২ লক্ষ ৬৯ হাজার ৬৬৫ টি ডোজ় পাঠানো হয়েছে। মহারাষ্ট্রে পাঠানো হয়েছে ১১কোটি ৩১ লক্ষ ০৫ হাজার ১৩০ টি ডোজ়।
অর্থাৎ, করোনা টিকা প্রাপ্তির দিক থেকে প্রথম তিনটি রাজ্যের মধ্যে দুটিই অবিজেপি শাসিত রাজ্য। মহারাষ্ট্রে শিবসেনা-কংগ্রেস-এনসিপির জোট সরকার। আর বাংলায় তৃণমূল। তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অন্যান্য তৃণমূল নেতাদের গলায় মাঝে মধ্যে যে অভিযোগগুলির কথা শোনা যাচ্ছিল, তা আজ কার্যত নস্যাৎ করে দিল কেন্দ্রীয় সরকার।
বাংলার পরে চতুর্থ স্থানে রয়েছে বিহার। তারা পেয়েছে, ৯ কোটি ৬৮ লক্ষ ৯৩ হাজার ৬১৫ টি ডোজ়। মধ্যপ্রদেশ করোনা টিকার ডোজ় পেয়েছে ৮ কোটি ৮৬ লক্ষ ৭২ হাজার ৬৬০ টি। তার পরে ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে গুজরাট। তারা পেয়েছে ৮ কোটি ৩৪ লক্ষ ৪৪ হাজার ৫৭০ টি ডোজ। রাজস্থান পেয়েছে ৭ কোটি ৭৬ লক্ষ ১ হাজার ৭৩৫ ডোজ।
উল্লেখ্য, সংবাদ সংস্থা এএইআই-তে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, পশ্চিমবঙ্গে বর্তমান প্রথম ডোজ় পেয়েছেন ৮৬.৬ শতাংশ মানুষ এবং দ্বিতীয় ডোজ় পেয়েছেন ৩৯.৪ শতাংশ মানুষ।
এদিক থেকে দেখতে গেলে বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে টিকাকরণের ছবিটা অনেকটা ভাল। হিমাচল প্রদেশ এবং গোয়া – এই দুই রাজ্য়ের ১০০ শতাংশ প্রথম ডোজ় সম্পন্ন হয়েছে। হিমাচল প্রদেশে দ্বিতীয় ডোজ় পেয়েছেন ৯১.৯ শতাংশ মানুষ এবং গোয়াতে দ্বিতীয় ডোজ় পেয়েছেন ৮৭.৯ শতাংশ মানুষ। গুজরাটের করোনা টিকাকরণেও যথেষ্ট গতি রয়েছে। সেখানে প্রথম ডোজ় এবং দ্বিতীয় ডোজ় পেয়েছেন যথাক্রমে ৯৩.৫ শতাংশ এবং ৭০.৩ শতাংশ মানুষ। উত্তরাখণ্ডে ৯৩ শতাংশ মানুষ পেয়েছেন প্রথম ডোজ় এবং ৬১.৭ শতাংশ মানুষ পেয়েছেন দ্বিতীয় ডোজ়।