অযোধ্যায় এদিন ছিল রাম মন্দিরের ভূমি পূজন। সেই উপলক্ষে রাজ্যে লকডাউনের মধ্যেও নানা জায়গায় মিছিল বের করে বিভিন্ন হিন্দুত্ববাদী সংগঠন। মালদায় তেমনই দু’টি মিছিলে পুলিশের বিরুদ্ধে লাঠি চালানোর অভিযোগ উঠল।
বুধবার বিকেলে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের মালদা জেলা কমিটির উদ্যোগে একটি মিছিলের আয়োজন করা হয় পুরাটুলি এলাকায়। দলীয় পতাকা নিয়ে বিজেপি কর্মী, সমর্থকরাও ওই মিছিলে অংশ নেন। রাজ্যে সম্পূর্ণ লকডাউনের মধ্যে শতাধিক মানুষের মিছিল আটকায় পুলিশ। এই সময়ে পুলিশ মিছিলে যোগ দেওয়া মানুষের উপরে লাঠি চালায় বলে অভিযোগ পরিষদের। লাঠি চালানোর অভিযোগ না মানলেও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বিনা অনুমতিতে এবং লকডাউনের মধ্যে মিছিল বের করায় পুরাটুলিতে পাঁচ জনকে আটক করা হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মিছিল এবং তা আটকাতে পুলিশের বাধা নিয়ে তুমুল উত্তেজনা তৈরি হয় এলাকায়। পরে পরিস্থিতি সামাল দিতে বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়।
শুধু পুরাটুলি এলাকাতেই নয়, মালদা শহরের নেতাজি মোড়ের কাছেও বিশ্ব হিন্দু পরিষদের একটি মিছিলেও লাঠি চালানোর অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে। এখানেও পরিষদের ডাকা মিছিলে যোগ দিয়েছিলেন অনেক বিজেপি কর্মী। দলের দাবি, নেতাজি মোড়েও পুলিশের লাঠির আঘাতে বেশ কয়েকজন বিজেপি কর্মী, সমর্থক আহত হয়েছেন।
জেলার বিজেপি নেতা সুদীপ্ত চট্টোপাধ্যায় বলেন, শান্তিপূর্ণ ভাবে মিছিল করছিলেন কর্মী, সমর্থকরা। সেই সময়ে হঠাৎ করেই পুলিশ লাঠি চালাতে শুরু করে। বেশ কয়েক জনকে আটকও করে।
বুধবার সন্ধ্যায় বিজেপি জেলা কার্যালয়ে অযোধ্যায় রাম মন্দিরের ভূমি পূজন উপলক্ষে প্রদীপ জ্বালান উত্তর মালদা কেন্দ্রের সাংসদ খগেন মুর্মু।
তিনি বলেন, “রাজ্য সরকার ইচ্ছে করেই এই দিনটিতে লকডাউন ঘোষণা করেছে। অন্যায় ভাবে কর্মী-সমর্থকদের লাঠিপেটা করে আটক করেছে।” জেলা পুলিশ অবশ্য লাঠি চালানোর কথা অস্বীকার করেছে।