উপনির্বাচন নিয়ে রাজনৈতিক টানাপোড়েনের মধ্যেই উপনির্বাচন পূর্ববর্তী প্রক্রিয়া শুরু করার নির্দেশ দিল নির্বাচন কমিশন। জানা গিয়েছে, আজ থেকেই ভবানীপুর-সহ মোট ৫ টি বিধানসভা কেন্দ্রে ফার্স্ট লেভেল চেকিং শুরু হচ্ছে কমিশনের নির্দেশে। এর আগে গত জুলাই মাসের মাঝামাঝি সময়ে সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী জেলাগুলির দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকদের চিঠি পাঠিয়েছিলেন মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক আরিজ আফতাব। তাতে জেলা নির্বাচনী আধিকারিকদের ভিভিপ্যাট ও ইভিএম পরীক্ষা করে দেখার নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি। আর এবার ফার্স্ট লেভেল চেকিংয়ের নির্দেশ দেওয়া হল যাতে মনে করা হচ্ছে যে খুব শীঘ্রই উপনির্বাচনের নির্ঘণ্ট বাজাতে পারে কমিশন। ফার্স্ট লেভেল চেকিংয়ের মাধ্যমে সব রাজনৈতিক দলের উপস্থিতিতে ত্রুটিপূর্ণ ইভিএম এবং ভিভিপ্যাট চিহ্নিত করে তা বদল করা হয়।
কমিশনের নির্দেশ, ভবানীপুর, খড়দহ, শান্তিপুর, দিনহাটা এবং গোসাবা বিধানসভা কেন্দ্রে ৬ অগস্টের মধ্যেই ফার্স্ট লেভেল চেকিং সম্পন্ন করা হবে। রাজনৈতিক দলগুলিকে বলা হয়েছে যাতে তাদের দুই প্রতিনিধিকে ফার্স্ট লেভেল চেকিংয়ে হাজির থাকেন। সূত্রের খবর, রাজ্যের বর্তমান করোনা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে অগস্টের শেষে বা সেপ্টেম্বরের শুরুর দিকেই উপনির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করতে পারে কমিশন।
উল্লেখ্য, গত বেশ কয়েকদিন থেকেই পশ্চিমবঙ্গের পাঁচটি বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন এবং দু’টি স্থগিত বিধানসভা কেন্দ্রে নির্বাচনের দিন ঘোষণা নিয়ে জল্পনা চলছে। ভবানীপুরে তৃণমূল প্রার্থী শোভনদেব চট্টোপাধ্য়ায় জিতলেও ফল প্রকাশের কিছুদিন পরই পদত্যাগ করেন তিনি। উপনির্বাচনে ওই কেন্দ্র থেকেই ভোটে লড়বেন মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়। খড়দা এবং গোসাবাতেও জয়ী হয়েছিলেন তৃণমূলের প্রার্থীরা। কিন্তু পরে তাঁদের দু’জনেরই মৃত্যু এছাড়া, শান্তিপুর ও দিনহাটায় জয়ী হন বিজেপির দুই সাংসদ জগন্নাথ সরকার ও নিশীথ প্রামাণিক। কিন্তু পরে সাংসদ পদ ধরে রাখতে পদত্যাগ করেন তাঁরা। ফলে আপাতত এই পাঁচটি বিধায়ক পদই ফাঁকা। অন্যদিকে, ভোট প্রক্রিয়া চলাকালীন করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুর এবং সামসেরগঞ্জে আরএসপি ও কংগ্রেস প্রার্থীর। ফলে এই দু’টি কেন্দ্রে স্থগিত হয়ে যায় নির্বাচনী প্রক্রিয়া। তাই এই দু’টি আসনেও ভোট হবে।
এদিকে, করোনা আবহে আদৌ উপনির্বাচন হবে কিনা, তা নিয়ে জোর তরজা চলছে রাজ্যে। তৃণমূলের অভিযোগ, মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে আটকাতেই রাজ্যে উপনির্বাচন করাতে চাইছে না নির্বাচন কমিশন। এই প্রেক্ষাপটে নির্বাচনী পূর্ববর্তী প্রক্রিয়া শুরু যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ।