দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে নিউজ়িল্যান্ডকে ৬৫ রানে হারাল ভারত। হার্দিক পাণ্ড্যদের জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিলেন সূর্যকুমার যাদব। তাঁর ব্যাট থেকে এল অনবদ্য শতরানের ইনিংস। ৫১ বলে অপরাজিত ১১১ রানের ইনিংসে মারলেন ১১টি চার এবং সাতটি ছয়।
গত এক বছর ধরে দুরন্ত ছন্দে রয়েছেন সূর্যকুমার। আইসিসির টি-টোয়েন্টি ব্যাটারদের ক্রমতালিকায় তিনিই এক নম্বর। রবিবার আগ্রাসী ইনিংস খেলার পর সূর্যকুমার বলেছেন, ‘‘টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে শতরান সব সময়ই দারুণ ব্যাপার। আমার কাছে শেষ পর্যন্ত উইকেটে থাকা বেশি গুরুত্বপূর্ণ। ব্যাট করার সময় আমি আর হার্দিক সেটাই আলোচনা করছিলাম। অন্তত ১৮ বা ১৯তম ওভার পর্যন্ত উইকেটে থাকার কথা বলছিলাম আমরা। কমপক্ষে ১৮০ থেকে ১৮৫ রান করতে চেয়েছিলাম। সেটা করতে পারায় খুব ভাল লাগছে।’’
এমন আগ্রাসী ব্যাটিং কী ভাবে করেন? আত্মবিশ্বাসী সূর্যকুমার বলেছেন, ‘‘এ ভাবে ব্যাট করতেই ভাল লাগে আমার। নেটে অনুশীলন করার সময়ও এ ভাবে ব্যাট করি। বলতে পারেন, সব সময়ই ব্যাট হাতে আগ্রাসী থাকার চেষ্টা করি। ম্যাচে এমন খেলতে পারলে ভাল লাগে।’’
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও অনবদ্য ছন্দে ব্যাটিং করেছেন সূর্যকুমার। তখন নামতেন চার নম্বরে। নিউজ়িল্যান্ডের বিরুদ্ধে রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলিরা বিশ্রাম নেওয়ায় গুরুত্বপূর্ণ তিন নম্বরে ব্যাট করছেন সূর্যকুমার। ব্যাটিং অর্ডারের নতুন জায়গাতেও স্বচ্ছন্দে মানিয়ে নিয়েছেন তিনি। ম্যাচের সেরা হওয়ার পরও কিছুটা আক্ষেপ শোনা গিয়েছে তাঁর মুখে। বিশেষ করে ভারতীয় ইনিংসের শেষ চার ওভার নিয়ে। সূর্যকুমার বলেছেন, ‘‘১৫-১৬ ওভারের পর থেকেই আমি আর হার্দিক কথা বলছিলাম। কী ভাবে দ্রুত বেশি রান করা যায় তা নিয়ে কথা বলছিলাম। হার্দিকের পর দীপক হুডা, ওয়াশিংটন সুন্দর কিছু করতে পারল না। শেষ চার ওভার আমরা আরও ভাল ভাবে ব্যবহার করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু সেটা হল না। যদিও, প্রত্যাশা মতো ব্যাট করতে পারায় আমি খুশি।’’
সীমিত ওভারের ক্রিকেটে বিশেষ করে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ভারতীয় দলের ব্যাটিংয়ের অন্যতম ভরসা হয়ে উঠেছেন সূর্যকুমার। রবিবার নিউজ়িল্যান্ডের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে দ্বিতীয় শতরান করলেন সূর্যকুমার।