কারা কারা এখনও দ্বিতীয় ডোজ পাননি? তা নিশ্চিত করতে বাড়ি বাড়ি সমীক্ষার উদ্যোগ রাজ্য সরকারের। সূত্রের খবর, এখনও প্রায় ১.৮ মিলিয়ন মানুষ রাজ্যে দ্বিতীয় ডোজ পাননি। রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা অজয় চক্রবর্তী জানিয়েছেন, আশা কর্মীদের মাধ্যমে আমরা বাড়ি বাড়ি সমীক্ষা শুরু করেছি। যদি কেউ না নিয়ে থাকেন তবে তাঁদের টিকা নিতে উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে। এদিকে স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর ,উত্তরবঙ্গের আলিপুরদুয়ারে সবথেকে বেশি প্রায় ২১৮,০০০ বাসিন্দা দ্বিতীয় ডোজ নেননি। হুগলিতে এই সংখ্যাটা ১৪০০০০জন। কলকাতায় প্রায় ১০৮৪০০ জন করোনার দ্বিতীয় ডোজ নেননি। ট্রেন্ডিং স্টোরিজ
এদিকে কোভিশিল্ডের ক্ষেত্রে ১২ সপ্তাহের মধ্যে দ্বিতীয় ডোজ নিতে হয়। কোভ্যাক্সিনের ক্ষেত্রে চার সপ্তাহ পরে নিতে হয়। এদিকে স্বাস্থ্য অধিকর্তার দাবি, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সদস্য ও পরিযায়ী শ্রমিকরা দ্বিতীয় ডোজ নেননি। বহু কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান যারা ভোটের সময় এই রাজ্যে এসেছিলেন তাঁরা প্রথম ডোজ নিয়েছেন। তারপর তাঁরা চলে যান।এদিকে পরিযায়ী শ্রমিকরাও বাংলায় ফিরে এসে প্রথম ডোজ নিয়েছিলেন, এরপর যেখানে কাজ করতেন সেখানে ফিরে যান।
তবে স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছে সেকেন্ড ডোজের জন্য ভ্যাকসিনেশন সেন্টারে আলাদা লাইন করা হচ্ছে। হয়রানি এড়ানোর জন্য এটা করা হচ্ছে। এদিকে রাজ্যের বিশেষজ্ঞ কমিটির সদস্য সুকুমার মুখোপাধ্যায় বলেন, উৎসবের সময় রাজ্যে কোভিড বিধি বহু ক্ষেত্রে মানা হয়নি।