পোল্যান্ডের বিরুদ্ধে আর্জেন্টিনার হয়ে প্রথম গোল এসেছে তাঁর পা থেকে। দেশকে বিশ্বকাপের প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে তুলতে তিনি বড় ভূমিকা নিয়েছেন। কিন্তু এখনও লিয়োনেল মেসিতে বুঁদ অ্যালেক্সিস ম্যাক অ্যালিস্টার। তিনি বুঁদ মেসির নেতৃত্বে। মেসির দায়বদ্ধতায়।
পোল্যান্ড ম্যাচে প্রথমার্ধে পেনাল্টি নষ্ট করেছিলেন মেসি। দলের অধিনায়কের ভুলের খেসারত অবশ্য দলকে দিতে হয়নি। দ্বিতীয়ার্ধে দু’টি গোল করে ম্যাচ জিতে যায় আর্জেন্টিনা। মেসি পেনাল্টি ফস্কালেও পরের গোল দু’টির কৃতিত্ব তাঁকেই দিয়েছেন ম্যাক অ্যালিস্টার। ফুটবলার মেসি নন, অধিনায়ক মেসির প্রশংসা করেছেন তিনি।
ম্যাক অ্যালিস্টার বলেছেন, ‘‘আমরা প্রথম থেকেই ইতিবাচক মানসিকতা নিয়ে খেলতে নেমেছিলাম। আমাদের লক্ষ্য ছিল, জিততেই হবে। তাই মেসির পেনাল্টি নষ্টের পরেও দলের কেউ হতাশ হয়নি। মেসি সবাইকে এসে বলে, ‘ভেঙে পড়ার কিছু হয়নি। এখনও অনেক সময় আছে। আমি পারিনি, তোমরা গোল করবে।’ মেসির এই কথায় দলের সবাই আরও আক্রমণাত্মক খেলা শুরু করেছিল। তারই ফল পেয়েছি।’’
পোল্যান্ডের বিরুদ্ধে তাঁরা দলগত খেলার পুরস্কার পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন ম্যাক অ্যালিস্টার। বলেছেন, ‘‘আমরা দলগত ফুটবল খেলেছি। এই দলটার সবাই সবার জন্য খেলে। সেটাই আমাদের বাকিদের থেকে আলাদা করেছে। এ রকম একটা দলের সদস্য হতে পেরে গর্বিত।’’
দ্বিতীয়ার্ধের প্রথম মিনিটেই মোলিনার ক্রস থেকে ডান পায়ের শটে আর্জেন্টিনার হয়ে প্রথম গোল করেন ম্যাক অ্যালিস্টার। নিজের প্রথম বিশ্বকাপ খেলছেন তিনি। পোল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রথম একাদশে শুরু থেকে খেলেছেন। কোচ লিয়োনেল স্কালোনির ভরসার দাম দিয়েছেন। গোল করে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছিলেন ম্যাক অ্যালিস্টার। তিনি বলেছেন, ‘‘আমার কাছে খুব আবেগের মুহূর্ত ছিল। দলের প্রথম গোলটা দরকার ছিল। সেটা আমি করেছি। এর থেকে ভাল অভিষেক বিশ্বকাপে আর কী হতে পারে!’’
গ্রুপের প্রথম ম্যাচে সৌদি আরবের কাছে হেরে বিধ্বস্ত হয়ে পড়েছিল আর্জেন্টিনা। ম্যাচ শেষে মেসি বলেছিলেন, ‘‘আমরা সবাই মারা পড়েছি।’’ তবে সেই হতাশা কাটিয়ে ফিরেছে দল। সৌদি ম্যাচের আতঙ্ক ভুলে এখন শুধুই সামনের দিকে তাকাতে চান ম্যাক অ্যালিস্টার। তিনি বলেছেন, ‘‘দ্বিতীয় ম্যাচেই আমরা ছন্দ পেয়ে গিয়েছিলাম। প্রথম ম্যাচের হার নিয়ে আর ভাবতে চাই না। এ বার প্রি-কোয়ার্টার ফাইনাল। সামনে অস্ট্রেলিয়া। সে দিকেই নজর দিচ্ছি।’’